জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের এখনকার দিনগুলো কীভাবে কাটছে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই পেতে আগ্রহী। এর উত্তর হলো—পারিবারিক আবহে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার বাড়িতে তাঁর দিন কাটছে। নিয়মিত বেড়াতে যাচ্ছেন, সাগরে সাঁতার কাটছেন, নানা অ্যাডভেঞ্চার করছেন। সূর্য তার মুখে মৃদু উষ্ণতা দিচ্ছে।
কারামুক্তির পর অ্যাসাঞ্জের এমন জীবনই আশা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও সমর্থকেরা; কিন্তু উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ যে রকম মানুষ, অর্থাৎ তাঁর মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করলে তাঁকে যে রকম মানুষ মনে হয়, তাতে তিনি একেবারে পারিবারিক মানুষ হয়ে যাবেন, সেটি বিশ্বাস হয় না। এটা ঠিক যে তাঁকে ঘিরে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে কিছুটা রহস্য তো রয়েছেই।
গত বছরের ২৬ জুন যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে ছাড়া পান অ্যাসাঞ্জ। এরপর প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন অঞ্চল নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে তাঁকে নেওয়া হয়। সেখানে একটি আদালতে তিন ঘণ্টার শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১০ ও ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেন অ্যাসাঞ্জ। নথির মধ্যে ছিল মার্কিন দূতাবাসের প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কূটনৈতিক তারবার্তা, ইরাক যুদ্ধের ৪ লাখের বেশি প্রতিবেদন, আফগান যুদ্ধের ওপর প্রায় ৯০ হাজার নথি।
ওই দিনই অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা দেন অ্যাসাঞ্জ। ক্যানবেরায় তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন শত শত গণমাধ্যমকর্মী, পরিবারের সদস্য ও তাঁর সমর্থকেরা। চার্টার্ড প্লেন থেকে বেরিয়ে সবাইকে দেখে দুই হাত তুলে তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ বলে দিচ্ছিল, কতটা আনন্দিত তিনি। সবার আগে স্ত্রী স্টেলাকে জড়িয়ে ধরেন ও চুমু খান। এই স্টেলাই সেই নারী, যিনি অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী দলে ছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে থাকা অবস্থায় অ্যাসাঞ্জকে বিয়ে করেন তিনি।
এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ বলেন, বাড়িতে আসতে পেরে সে দারুণ খুশি। অ্যাসাঞ্জ-স্টেলা দম্পতির দুই সন্তান গ্যাব্রিয়েল ও ম্যাক্স। স্টেলা বলেন, অ্যাসাঞ্জের মুক্তির খবর বলার পর সন্তানেরা আনন্দে লাফাতে শুরু করে। জুলিয়ানকে (অ্যাসাঞ্জ) নিজেদের পোষা সিল দেখানোর অপেক্ষা করছিল তারা।
স্টেলা অনুরোধ জানান, ‘আমরা আমাদের একলা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাই।’ স্টেলা বলেন, তাঁরা এবার খানিকটা বিশ্রাম, নিজেদের স্বাভাবিকভাবে ফিরে পাওয়া এবং খানিকটা সময় শান্তিতে কাটাতে চান।
এর মধ্য দিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের দীর্ঘ ১৪ বছরের আইনি লড়াই শেষ হয়। এ সময় অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে বন্দী জীবন কাটাতে হয়েছে; অথবা বেলমার্শ কারাগারে বন্দী থাকতে হয়েছে।
২০১০ ও ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেন অ্যাসাঞ্জ। নথির মধ্যে ছিল মার্কিন দূতাবাসের প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কূটনৈতিক তারবার্তা, ইরাক যুদ্ধের ৪ লাখের বেশি প্রতিবেদন, আফগান যুদ্ধের ওপর প্রায় ৯০ হাজার নথি।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধ নিয়ে অ্যাসাঞ্জের ফাঁস করা নথিগুলো বিশ্বকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এসবের কোনো কোনোটিতে মার্কিন সেনাদের হাতে বন্দী নির্যাতনের মতো ঘটনারও উল্লেখ ছিল।
২০১০ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিং ইরাক ও আফগান যুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন নথি উইকিলিকসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
এই নথি ফাঁস উইকিলিকস ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, এতে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর সমর্থকেরা বলেছিলেন, এগুলো যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ, যা জনগণের জানার অধিকার।
এ ঘটনায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করে মার্কিন বিচার বিভাগ। একই সময়ে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন এক সুইডিশ নারী। অ্যাসাঞ্জ তখন লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। এ নিয়ে পরে অনেক কিছু ঘটে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ থেকে বাঁচতে অ্যাসাঞ্জ সাত বছর লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে ছিলেন। পরে ২০১৯ সালে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের সুরক্ষিত বেলমার্শ কারাগারে পাঁচ বছর দুই মাস বন্দী ছিলেন। কারাগার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আইনি লড়াই চালিয়ে যান।
অ্যাসাঞ্জের মুক্তির ঘটনা অবশ্য আইনি লড়াইয়ের ফসল নয়; বরং মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে আসে। সমঝোতা অনুযায়ী, অ্যাসাঞ্জকে তাঁর বিরুদ্ধে আনা ১৮ অভিযোগের সব কটিতে দোষ স্বীকার করতে হয়।
আর চেলসি ম্যানিংয়ের কারাদণ্ড হয় ৩৫ বছরের। যদিও কারাগারে থাকা অবস্থায় তাঁর ট্রান্সজেন্ডার পরিচয় সামনে আসে। সাত বছর কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান।
একজন সমাজকর্মী ও আইটি–বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাগুলো হলো-‘স্টেট অ্যান্ড টেররিস্ট কনসপিরেসিস’, ‘কনসপিরেসি অ্যাজ গভর্ন্যান্স’ ও ‘দ্য হিডেন কার্স অব থমাস পেইন’।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিলে ১৯৭১ সালে জন্ম হয় অ্যাসাঞ্জের। অনেকটা যাযাবরের মতো শৈশব কেটেছে তাঁর। মেলবোর্নে স্থায়ী হওয়ার আগে অন্তত ৩৭টি স্কুল পরিবর্তন করেছেন অ্যাসাঞ্জ।
কৈশোরে কম্পিউটার হ্যাকিংয়ে দারুণ দক্ষতা দেখাতে শুরু করেন অ্যাসাঞ্জ। যে কারণে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের নজরদারিতেও পড়েন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনত, সেগুলোর প্রায় সবই তিনি স্বীকার করে নিতেন এবং জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যেতেন।
একজন সমাজকর্মী ও আইটি–বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাসাঞ্জ।
অ্যাসাঞ্জের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাগুলো হলো ‘স্টেট অ্যান্ড টেররিস্ট কনসপিরেসিস’, ‘কনসপিরেসি অ্যাজ গভর্ন্যান্স’ ও ‘দ্য হিডেন কার্স অব থমাস পেইন’।
আন্তর্জাতিক বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এগুলোর মধ্যে আছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া পুরস্কার, পাঠকের ভোটে টাইম সাময়িকীর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার ২০১০’, সিডনি শান্তি ফাউন্ডেশনের স্বর্ণপদক, সাংবাদিকতায় মার্থা গেলহর্ন পুরস্কার ইত্যাদি। অ্যাসাঞ্জ ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও পেয়েছিলেন।
তবে মার্কিন কৌঁসুলিদের যুক্তি, অ্যাসাঞ্জ মোটেও কোনো সাংবাদিক নন। তিনি মূলত এমন একজন হ্যাকার, যিনি তাঁর ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছেন।
মুক্তির পর অ্যাসাঞ্জ প্রথম জনসমক্ষে আসেন গত বছরের ১ অক্টোবর। সেদিন ফ্রান্সের স্টার্সবার্গে ইউরোপের অধিকার সংস্থা পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অব দ্য কাউন্সিল অব ইউরোপের (পিএসিই) প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেদিন তিনি বলেন, সাংবাদিকতা করার জন্য দোষ স্বীকার করার পর দীর্ঘ কারাভোগের জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জ সতর্ক করে বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখন একটি অন্ধকার মোড়ে দাঁড়িয়ে। তাঁর মতে, সাংবাদিকদের তাঁদের কাজ করার জন্য বিচার করা উচিত নয়। আর সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়। এটি একটি মুক্ত ও সচেতন সমাজের স্তম্ভ।
সর্বশেষ ৩ আগস্ট গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজে হাজারো মানুষের বিক্ষোভে অংশ নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তবে সেদিন উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বা গণমাধ্যমের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি তিনি।
অ্যাসাঞ্জের লড়াই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হুইসেলব্লোয়ার, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে এটাও শিক্ষা দিয়েছে যে দীর্ঘ প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক জনমত ও সংহতি ছাড়া এমন যুদ্ধে জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
এই দুটি কর্মসূচি ছাড়াও গত এক বছরের বেশি সময়ে অ্যাসাঞ্জকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তাঁর এখনকার জীবন নিয়ে গণমাধ্যমেও তেমন প্রতিবেদনও নেই। এমনকি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমেও তাঁকে আর সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না।
ইন্টারনেট ঘেঁটে সর্বশেষ প্রতিবেদন পাওয়া গেছে—এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার সানডে পেপারে। ‘লাইফ আফটার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ রিলিজ’ শিরোনামে এই প্রতিবেদন লিখেছেন ফেলিসিটি রুবি, অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার সমর্থকদের একজন। একই সঙ্গে তিনি অস্ট্রেলিয়ার একজন লেখক, গবেষক ও অধিকারকর্মী।
প্রতিবেদনে রুবি লিখেছেন, কেবল অ্যাসাঞ্জ মুক্তি পাননি, যাঁরা অ্যাসাঞ্জের মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন, তাঁরাও মুক্ত হয়েছেন। ফেলিসিটি রুবি লিখেছেন, ‘লন্ডনের অনেক অ্যাক্টিভিস্ট, যাঁরা সাত বছর ধরে শীতের দিনগুলোয় একের পর এক ইকুয়েডর দূতাবাসের বাইরে এবং পরে পাঁচ বছর ধরে সপ্তাহে এক দিন করে বেলমার্শ কারাগার ও অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁরা আমাকে বলেছেন, এটা (অ্যাসাঞ্জের মুক্তির জন্য লড়াই) সত্যিই মূল্যবান ছিল। কেউ কেউ বলছেন, এটা তাঁদের জীবনের সবচেয়ে সেরা কাজ ছিল।’
অসংখ্য জনসভা আয়োজন, বিবৃতি ও চিঠি স্বাক্ষর, নাটক ও গ্রাফিতির ছবি শেয়ার করা—সব মিলিয়ে তাঁকে (অ্যাসাঞ্জ) বাড়ি ফিরিয়ে এনেছে। হয়তো টুইটারের থ্রেডগুলোও কিছুটা ফলদায়ক ছিল।
জুলিয়ানের ধৈর্য অবিস্মরণীয় ছিল—শারীরিক বন্দিত্ব এবং ক্রমবর্ধমান মানসিক, আর্থিক ও আইনি চাপের মুখেও।
রুবির মতে, অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল হওয়া। এর মধ্যে রয়েছেন সেই উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরাও, যাঁরা প্রথমে আসাঞ্জের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছিলেন; কিন্তু পরে তাঁদের মন পরিবর্তন করেছেন। এটা অ্যাসাঞ্জের প্রতি সমর্থনের ভিত্তি বাড়িয়েছে এবং আসাঞ্জের মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের ওপর বিস্তৃত প্রভাবগুলো বোঝার সুযোগ দিয়েছে।
ফেলিসিটি রুবি লিখেছেন, যাঁরা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছেন, তাঁদের ক্ষমা করা এবং গ্রহণ করা যেকোনো আন্দোলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেখায় যে আন্দোলন সফল হচ্ছে এবং উন্মুক্ত সংলাপ, শিক্ষা এবং সহমর্মী হৃদয় ও মন পরিবর্তনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরে।
তথ্যের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বয়স এখন ৫৫ বছরের কাছাকাছি। এরপর তাঁর জীবনে কী ঘটবে, তা তিনি কীভাবে এগোবেন, সে সম্পর্কে ধারণা করা সহজ নয়।
অ্যাসাঞ্জের লড়াই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হুইসেলব্লোয়ার, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে এটাও শিক্ষা দিয়েছে যে দীর্ঘ প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক জনমত ও সংহতি ছাড়া এমন যুদ্ধে জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
সংক্ষেপে ফলাফল দাঁড়াল এ রকম—অ্যাসাঞ্জ ব্যক্তিগতভাবে মুক্তি পেলেও সাংবাদিকতা ও তথ্যের স্বাধীনতার লড়াই এখনো চলমান।
সূত্র: এবিসি, সানডে পেপারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম