দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলবিরোধীদের বিক্ষোভ। রাজধানী সিউলে, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলবিরোধীদের বিক্ষোভ। রাজধানী সিউলে, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দেশটির অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে আজ শনিবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা না–করা নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে।

গত ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইওল। এ কারণে পরবর্তী সময়ে তিনি পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন। অভিশংসিত হলেও তিনি এখনো সিউলে দেশটির প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবনে অবস্থান করছেন।

গতকাল শুক্রবার থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা ইওলকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বাসভবনের সামনে সমর্থকদের অবস্থান ও নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এটা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ রাজধানী সিউলে ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছেন।

আজ সিউলে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে চলে গেছে। তীব্র শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে রাজধানীর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান সড়কগুলোয় ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষ জড়ো হচ্ছেন। এক পক্ষ তাঁর গ্রেপ্তার দাবি করছে। অন্য পক্ষ তাঁকে অভিশংসিত করা অবৈধ ঘোষণার দাবি করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল

ইওলবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ২৫ বছর বয়সী কিম মিন-জি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে (ইওল) জবাবদিহির আওতায় আনা যাচ্ছে না। পুলিশ ও দুর্নীতি তদন্ত কর্মকর্তারা দৃঢ়ভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁকে কার্যালয় থেকে অপসারিত না করা পর্যন্ত প্রতিবাদ করাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে ইওলের সমর্থক ৭১ বছর বয়সী সু ইয়ো-হন বলেন, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সামরিক আইন জারির বৈধ কারণ ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে দিতেই তিনি তা করেছিলেন।

ইওলের সমর্থক এই নারী বলেন, ‘তিনি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। ইওলকে রক্ষা করা মানে আমাদের দেশকে রক্ষা করা।’