Thank you for trying Sticky AMP!!

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ মঙ্গলবার তাঁর বার্ষিক ভাষণ ‘স্টেট অব দ্য ন্যাশন’–এ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। মস্কো, রাশিয়া ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাশিয়াকে ধ্বংস করতে বিশ্বযুদ্ধ বাধাতে চায় পশ্চিমারা, অভিযোগ পুতিনের

ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ বাড়িয়ে তোলার অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক সংঘাতের মঞ্চে মস্কোকে পরাজিত করতে পারবে এমনটি একটি ভুল ধারণা নিয়ে তারা এটি করছে।

আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেছেন। রাশিয়ার পতাকা শোভিত মঞ্চের মাঝের ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন পুতিন।

Also Read: যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম ইউক্রেন সফরে বাইডেন

দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক অভিজাতদের সামনে রেখে দেওয়া এই বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছে তা ‘সাবধানে ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার’ মধ্য দিয়ে সমাধান করা হবে।

রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক অভিজাতদের সামনে রেখে বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য ন্যাশন’ ভাষণ দেন ভ্লাদিমির পুতিন

পশ্চিমাদের বৈশ্বিক সংঘাতের বিষয়ে সতর্ক করে পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে এই যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। যুদ্ধে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের দুঃখ–কষ্ট তিনি অনুধাবন করেন।

পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ কিয়েভের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী ও তাঁদের পশ্চিমা তাঁবেদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। যাঁরা দেশটিকে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পুরোপুরি দখল করে আছে।’

Also Read: যুদ্ধ বন্ধের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পশ্চিমা দেশগুলো আঞ্চলিক একটি যুদ্ধকে বৈশ্বিক সংঘাতের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় মন্তব্য করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমাদের তৎপরতাকে রাশিয়া ঠিক এভাবেই দেখছে। এর যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। কারণ, এটা রাশিয়ার অস্তিত্বের বিষয়।

যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর ভাষ্যমতে, রুশ সমাজকে বিভক্ত করতে পশ্চিমাদের যে চেষ্টা, তার সামনে কখনো নতি স্বীকার করবে না রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনে বেশির ভাগ রুশ নাগরিকের সমর্থন রয়েছে।

Also Read: উড়োজাহাজে-ট্রেনে চড়ে, গোপনে ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভে পৌঁছান বাইডেন

Also Read: চীন কেন রাশিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে