অস্ট্রিয়ায় যে বাড়িটিতে জার্মান শাসক অ্যাডলফ হিটলার জন্মেছিলেন, সেটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। গতকাল সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় ব্রাউনাউ আম ইন শহরে অবস্থিত ওই বাড়িটিকে নব্য নাৎসিদের ‘তীর্থস্থান’ হয়ে ওঠা ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে হুট করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়নি অস্ট্রীয় সরকার। বাড়িটির বর্তমান মালিকের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই এ নিয়ে বিবাদ চলছিল।
অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উলফগ্যাং সোবোতকা দেশটির সংবাদপত্র দাই প্রেসকে বলেন, ‘হিটলারের বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে। ভিত্তিটা হয়তো থেকে যাবে, তবে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। ওই ভবন ব্যবহার হবে হয় দাতব্য সংস্থার কাজে, নতুবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা দেখভাল করবে।’
বর্তমানে তিনতলার ওই বাড়িতে ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল জন্ম হয় হিটলারের। এরপর মাত্র কয়েক সপ্তাহই সেখানে ছিলেন হিটলার। ২০১১ সালে বাড়িটি খালি করে ফেলা হয়। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে ওই বছরই বাড়ির মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দা গারলিন্ডে পোমার সরকারের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তাঁর পরিবার ওই সম্পত্তির মালিক। তবে নাৎসি শাসনামলে ১৯৩৮ সালে হিটলারের ব্যক্তিগত সচিব মার্টিন বোরম্যান বাড়িটি তৎকালীন মূল্যের চার গুণ বেশি দাম দিয়ে কিনে নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পঞ্চাশের দশকে বাড়িটি আবার পোমারের পরিবারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে গারলিন্ডে পোমারের সঙ্গে বাড়িটির ব্যাপারে নতুন করে লিজ চুক্তি করে সরকার। এরপর থেকেই এ বাড়ি প্রতিবন্ধীদের আবাসে পরিণত হয়।