
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাতভর রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত ২ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে আজ রোববার জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো বলেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন তরুণীও নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাতে রাশিয়ার এসব ড্রোন হামলায় কিয়েভের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়।
মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো বলেন, নিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে দারনিৎস্কি এলাকায় ভূপাতিত রুশ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি চারতলা আবাসিক ভবনে আগুন লেগে যায়। সেখানে উদ্ধার অভিযানকালে চিকিৎসাকর্মীদের ডাকা হয়।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে ক্লিৎসকো আরও বলেন, এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ আহত আরও দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে কিয়েভের পশ্চিমাঞ্চলের স্ভিয়াতোশিনস্কি এলাকায় ১৬ তলা একটি ভবন ও দুটি ৯ তলা ভবনের ওপরের অংশে আগুন লেগে যায় বলেও জানান মেয়র।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকেরা একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন, যা দেখে তাঁদের মনে হয়েছে, শহরে বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় ছিল।
রাজধানীর সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে জেনেবুঝে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে।
মস্কো এ হামলা নিয়ে তৎক্ষণাৎ কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া চলমান সংঘাতে উভয় পক্ষই বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে আসছে।
নতুন করে এ হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনকে সহায়তা করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী দেশটিতে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত এই সংঘাতে নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।