পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আরও এক বিধায়ক ফিরলেন তৃণমূলে
পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আরও একজন এমএলএ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের অভিযোগে বিজেপি তাঁকে আগেই চিঠি দিয়েছিল।
আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়ায় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পরে বিজেপির পাঁচজন বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁরা হলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা আসনের বিশ্বজিৎ দাস এবং দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ আসনের সৌমেন রায়।
এদিকে বিজেপির দুই নেতা কোচবিহারের দিনহাটা আসনে নিশীথ প্রামাণিক এবং নদীয়ার শান্তিপুরের জগন্নাথ সরকার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ের পর তাঁরা জানান, লোকসভার সদস্যপদ ছাড়বেন না। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ওই আসন দুটিও খালি হয়ে যায়। আসন দুটিতে ৩০ অক্টোবর নির্বাচন হওয়ার কথা।
ওই দুই আসনে বিজেপি হেরে গেলে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় তাদের বিধায়কের সংখ্যা ৭৭ থেকে ৭০-এ নেমে আসবে। এদিকে দল ছেড়ে যাওয়া এমএলএদের পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার স্পিকারকে ইতিমধ্যে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন
-
মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ায় বেশি পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা
-
পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে: ওবায়দুল কাদের
-
পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসনে হাজার কোটি টাকা বাড়তি চায় চীনা ঠিকাদার
-
বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে
-
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ভেন্যুতে ঝড় বয়ে গেছে