বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে কলকাতায় মঙ্গল শোভাযাত্রা
কাগজের হাতি, ঘোড়া, প্যাঁচা, ময়ূর, বাঘ, সিংহ। নানা মুখোশ, পটচিত্র, পাখা, কুলোর সমাহার। রাস্তায় ছিল নানা আলপনা। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদ্যাপনে শিশুরাও আজ বৃহস্পতিবার পথে নামল। গাইল গান। চলল কবিতা আবৃত্তিও।
কলকাতার রাজপথে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় আজ উপস্থিতি ছিল বেশ কম। কারণ, করোনার ঊর্ধ্বগতি।
কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে আজ উদ্যাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮। বাংলাদেশে গতকাল বুধবার পয়লা বৈশাখ উদ্যাপিত হলেও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বাংলাভাষীরা দিনটি আজ উদ্যাপন করেছে। পঞ্জিকা মেনে চলার জন্যই এ ভিন্নতা।
তবে করোনার কারণে এবার নববর্ষ উদ্যাপনের সেই জৌলুশ নেই। কিছু কিছু সংগঠন ঘরোয়াভাবে দিনটি উদ্যাপন করছে। কেউ আবার ভার্চুয়ালে আয়োজন করেছে নববর্ষের অনুষ্ঠান।
আজ পান্তা-শুঁটকি, আলুভর্তা-চিংড়ি আর আমপোড়া শরবত খেয়ে নববর্ষের সূচনা করে কলকাতার ভাষা ও চেতনা সমিতির শিশুদের পাঠশালা। এই লক্ষ্যে সকালে কলকাতার মানিকতলার খালধারে ভাষা ও চেতনা সমিতির পাঠশালায় করোনার বিধি মেনে আয়োজন করে নববর্ষের অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। তবে এবার করোনার কারণে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন আয়োজন করেনি নববর্ষের অনুষ্ঠানের।
আজ কলকাতাসহ ভারতের বাংলাভাষী রাজ্য ও অঞ্চলে উদ্যাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮। ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রার আদলে কলকাতায় ২০১৭ সাল থেকে এর যাত্রা শুরু। তবে গত বছর করোনার কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি।
এ বছরও দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলিবাগান থেকে শুরু হয় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। শেষ হয় সুকান্ত সেতুতে। এবার যৌথভাবে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা কলকাতা’ ও ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা পশ্চিমবঙ্গ’ কমিটি।