
ভারতীয় সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হবে ১৯ জুলাই। চলবে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের পূর্ণাঙ্গ বৈঠক বসছে বুধবার।
দীর্ঘ দুই মাস পর ডাকা এই বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা। সরকারি সূত্রের ধারণা, জুলাই মাসের শুরুতেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রদবদল ঘটিয়ে ফেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দ্বিতীয় দফায় একবারও মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটাননি মোদি। তা করার আগে তিনি বুধবারের বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের মূল্যায়ন খতিয়ে দেখবেন। আলোচিত হবে কোভিড পরিস্থিতিও।
মন্ত্রিসভার রদবদল অনেক দিন ধরেই বিবেচনায় রয়েছে। বিভিন্ন কারণে তা করা যায়নি। কোভিড পরিস্থিতি যার অন্যতম। এখন সংক্রমণের প্রকোপ যথেষ্ট কম।
মৃত্যুহারও কমেছে, যদিও তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রবল। সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের দিনও ঘোষণা করা হয়ে গেছে। ফলে রদবদল ঘটানোর উপযুক্ত সময় এটাই। কারণ, নতুন যাঁরা মন্ত্রী হবেন, সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাঁরা নিজেদের কিছুটা তৈরি করে রাখার সময় পাবেন। মোদি মন্ত্রিসভার বহর এই মুহূর্তে ৬০। রাজনৈতিক অনুমান, সংখ্যাটা কিছু বাড়বে।
মন্ত্রী হওয়ার অপেক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে দিন গুনছেন কংগ্রেসত্যাগী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁরই মতো অপেক্ষায় রয়েছেন বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদি।
এবারের রদবদলে উত্তর প্রদেশ বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে বলে ধারণা। কেননা, আগামী বছরের গোড়ায় ওই রাজ্যে ভোট। সম্প্রতি সেখানকার কংগ্রেস ব্রাহ্মণ নেতা জিতিন প্রসাদকে বিজেপি দলে টেনেছে। তাঁকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে ভোটের আগে রাজ্যের অখুশি ব্রাহ্মণ সমাজকে বিজেপি একটা বার্তা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অপেক্ষায় রাখা হয়েছে আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকেও। মন্ত্রিত্বের দাবি করে বসে রয়েছেন উত্তর প্রদেশে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ছোট শরিক আপনা দলের নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ নেতা নিতিশ কুমার আবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দাবি জানিয়ে রেখেছেন। কদিন আগে তিনি দিল্লি ঘুরে গেছেন। কীভাবে মোদি মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন, তা দেখার।
কেননা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন, রেল, শিল্প-বাণিজ্য, আইন, সড়ক পরিবহনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদেই দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। নতুনদের কোথায় আনবেন, তা ঘিরে জমাট বেঁধেছে আগ্রহ।