Thank you for trying Sticky AMP!!

মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১৭ বিধায়কের ১২ জন যোগ দিলেন তৃণমূলে

কংগ্রেসের বিধায়কদের দলত্যাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজনীতিতে বড় পালাবদল ঘটিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যটিতে জাতীয় কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দলত্যাগ করেছেন। যোগ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে কংগ্রেসে। এর মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হতে যাচ্ছে তৃণমূল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই ঘটনাকে ‘মধ্যরাতের অভ্যুত্থান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলত্যাগের এই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা। মুকুলসহ আরও ১১ জন বিধায়ক বিধানসভার স্পিকার মেতবাহ লায়েংহোদের কাছে চিঠি লিখে দলত্যাগের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন।

২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুকুল সাংমা। বর্তমানে তিনি এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল দল ছাড়লে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

সম্প্রতি লোকসভার সাংসদ ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। এরপর থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে মুকুল সাংমার। এর জের ধরেই কংগ্রেসের বিধায়কদের নিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।

Also Read: বিজেপি-তৃণমূলের পাল্টাপাল্টিতে ত্রিপুরার রাজনীতিতে উত্তাপ

এদিকে ত্রিপুরা ও গোয়াসহ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে মমতা নিজের দলের শক্তি বাড়াতে চাইছেন। এই দুই রাজ্যে ক্ষমতায় যেতে চায় তৃণমূল। একই সঙ্গে মমতা আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) হটাতে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের এক ছাতার নিচে এনে নির্বাচনে লড়তে চাইছেন মমতা। তবে এই বৃহত্তর ঐক্যের পথে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস নেতাদের দলে টানার চলমান প্রচেষ্টা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

মমতা এখন দিল্লি সফরে রয়েছেন। এর আগের সফরে দিল্লিতে গিয়ে তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। মোদিবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গঠনের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তবে এবার মমতা–সোনিয়ার সাক্ষাৎ হচ্ছে না। গতকাল বুধবার মমতা সাংবাদিকদের বলেন, দিল্লিতে এলেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে হবে এমন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। কংগ্রেস এখন পাঞ্জাবের ভোট নিয়ে ব্যস্ত। সে সব মিটুক, তারপর দেখা যাবে।

Also Read: বিএসএফের কাজের এলাকা বাড়াবেন না, বৈঠকে মোদিকে মমতা