Thank you for trying Sticky AMP!!

রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে মোদির সঙ্গে কথা বলবেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এর মাঝেই রুশ জ্বালানি তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা না থাকলেও দেশটি জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারত তেল আমদানি আরও বাড়ালে তাতে আপত্তি রয়েছে ওয়াশিংটনের।

বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলবেন। আজ সোমবার এই দুই নেতার ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এমন একসময় বাইডেন ও মোদি বৈঠক করছেন, যখন ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানে চরম রাজনৈতিক সংকট চলছে। পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন হাজারো পাকিস্তানি। আর ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন-মোদি বৈঠককে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস দিলীপ সিং। তিনি বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালু রেখেছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে ভারতের ওপর ওয়াশিংটন কোন নিয়ন্ত্রণরেখা (রেড লাইন) আরোপ করেনি। তবে দিল্লি রুশ তেল আমদানি বাড়াবে এমন কোনো পরিস্থিতিও দেখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।

Also Read: রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এর পরপরই রুশ জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমারা। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর রাশিয়া থেকে অন্তত ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। অথচ গত বছর সব মিলিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করেছিল দেশটি। বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর ছাড়কৃত মূল্য রুশ তেল আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।

Also Read: রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে: ভারত