শান্তিনিকেতনে সাপের উপদ্রব, রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসব ২৮ মার্চ। এবার এই উৎসবে যোগ দিতে আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর এই সফর ঘিরে কর্তৃপক্ষ এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিষধর সাপের আনাগোনা রয়েছে। কেউ যাতে সাপের মুখে না পড়েন, সেই লক্ষ্যে এই চত্বরে সাপের ওপর নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এবার এই সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেওয়া কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেবেন সপ্তপর্ণী।
সাপের উপদ্রব কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার উপস্থিত হয়েছে একটি ‘স্নেক ক্যাচার টিম।’ তারা তন্ন তন্ন করে খুঁজছে বিশ্বভারতী চত্বর এলাকা। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ বন দপ্তরের কর্মকর্তা শ্রীকান্ত ঘোষ। তিনি গতকাল বিশ্বভারতী এলাকা ঘুরে বলেছেন, এখানে বিষধর সাপের আনাগোনা রয়েছে।
শ্রীকান্ত ঘোষ গতকাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অনেক জায়গা স্যাঁতসেঁতে। সেখানে সাপের আনাগোনাও তাঁরা টের পেয়েছেন। তাই তিনি বিজ্ঞান ভবন, উদয়ন ভবন, কলাভবন, রবীন্দ্র ভবন, রবীন্দ্র অতিথি গৃহ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছেন। নিরাপত্তা জোরদার করেছেন বিনয় ভবনের কাছে হেলিপ্যাডেও। নির্দেশ দিয়েছেন ,এলাকার দুর্বল গাছের ডাল ছেঁটে ফেলার।
শ্রীকান্ত ঘোষ জানান, শান্তিনিকেতনের লাল বাঁধ, পম্পা হ্রদ ও গুহাঘর এলাকায় কোবরা, চিতি, চন্দ্রবোরার মতো বিষধর সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। এ ছাড়া শ্যামলী, কোর্নাক, উদয়ন ও কলাভবনের বাড়িগুলোর স্যাঁতসেঁতে এলাকায় সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। বিশ্বভারতীর এলাকায় এখনো সাপ না মারায় সাপের বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে।
রাজ্যের বন বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাষ্ট্রপতির সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতী এলাকায় তিনটি দল অবস্থান করবে। ইতিমধ্যে এই দলের সদস্যরা গতকাল থেকে বিশ্বভারতী এলাকায় কাজ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন
-
মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ায় বেশি পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা
-
পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে: ওবায়দুল কাদের
-
পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসনে হাজার কোটি টাকা বাড়তি চায় চীনা ঠিকাদার
-
বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে
-
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ভেন্যুতে ঝড় বয়ে গেছে