পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে কর্মকর্তারা ‘এনুমারেশন ফরম’ বিতরণ করছেন
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে কর্মকর্তারা ‘এনুমারেশন ফরম’ বিতরণ করছেন

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, বাদ পড়েছেন ৫৮ লাখ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার সংশোধিত এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। মাঠপর্যায়ে গণনা থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে খসড়া এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকায় এমন বেশ কিছু নাম বাদ পড়েছে, যাঁদের নাম ২০২৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভোটার তালিকায় ছিল।

নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে বাদ পড়া নামগুলো প্রকাশ করেছে এবং কী কারণে নামগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করেছে।

কমিশন সূত্র বলেছে, মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি, এমন নামের সংখ্যা ৫৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকায় এমন বেশ কিছু নাম বাদ পড়েছে, যাঁদের নাম ২০২৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভোটার তালিকায় ছিল। নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে বাদ পড়া নামগুলো প্রকাশ করেছে এবং কী কারণে নামগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করেছে।

কেন তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর ‘এনুমারেশন ফরম’ পূরণ করতে গিয়ে এসব ব্যক্তিকে হয় নিবন্ধিত ঠিকানায় পাওয়া যায়নি অথবা তাঁরা স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়েছেন। মৃত্যু অথবা একাধিক আসনে ‘ভুয়া’ ভোটার হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কারণ দেখিয়েও এসব নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

কমিশন সূত্র আরও জানায়, ২৪ লাখের বেশি ভোটারকে ‘মৃত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ লাখের বেশি ভোটারকে তাঁদের নিবন্ধিত ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি, প্রায় ২০ লাখ ভোটার স্থায়ীভাবে তাঁদের আগের নির্বাচনী এলাকা থেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আরও ১ লাখ ৩৮ হাজার ভোটারের নাম একাধিকবার তালিকাভুক্ত (ভুয়া) হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।

‘এনুমারেশন ফরম’ পূরণের সময় দেখা দেওয়া অন্যান্য জটিলতার কারণে আরও ৫৭ হাজারের বেশি নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।

কমিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্ধারিত দাবি ও আপত্তি গ্রহণের সময় আজ ১৬ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ঘোষণাপত্র ও সহায়ক নথিসহ ফরম-৬ জমা দিয়ে তাঁদের দাবি দাখিল করতে পারবেন।

আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।