Thank you for trying Sticky AMP!!

ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি তদন্তে আইসিসিতে বাংলাদেশসহ ৫ দেশের আবেদন

ইসরায়েল জ্বালানি ঢুকতে না দেওয়ায় গাজার আল–শিফা হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। বাধ্য হয়ে ইনকিউবেটরে থাকা নবজাতকদের বাইরে রাখতে হয়েছে

ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। অন্য দেশগুলো হলো—দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমরোস ও জিবুতি। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যে এ আবেদন জানাল দেশগুলো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান।

বিবৃতিতে করিম খান বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে (ইসরায়েল কর্তৃক) যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগের বিষয়ে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসির একটি তদন্ত চলমান।

Also Read: গাজার ২ শরণার্থীশিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ৩৬

তদন্তটি শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চে। দখলকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের এখতিয়ার আছে—আইসিসির এমন আদেশের পরপরই তদন্তটি শুরু হয়। এতে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ বিচারের সম্ভাব্য দ্বার উন্মোচিত হবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী। এতে আইসিসির এখতিয়ার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে ইসরায়েল রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি।

আইসিসির প্রসিকিউটর বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনাও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।

Also Read: গাজায় আল-শিফা হাসপাতালে পানি ও অক্সিজেন ফুরিয়েছে

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি অনুসারে, একটি রাষ্ট্রপক্ষ প্রসিকিউটরকে এমন একটি পরিস্থিতি উল্লেখ করতে পারে, যেখানে আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে এক বা একাধিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এক বা একাধিক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এ ধরনের অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা উচিত কি না, তা নির্ধারণের জন্য প্রসিকিউটরকে পরিস্থিতি তদন্ত করার অনুরোধ করার বিধি রয়েছে।’

গাজায় হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও শরণার্থীশিবিরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে আসছে। এ ছাড়া সংস্থাগুলোর অভিযোগ, অবরোধ চাপিয়ে দিয়ে খাবার, পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করাও মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে।

Also Read: গাজায় শিশু, নারী হত্যা ইসরায়েলকে বন্ধ করতে হবে: ট্রুডো