
ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ঠিক করেছে ইরান। আজ রোববার ইরানের সেনা কর্মকর্তা মাহমুদ মৌসাভির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা দেফাহ প্রেস।
গত জুনে টানা ১২ দিনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ইরান ও ইসরায়েল। এ সময় ইরানের আকাশে আধিপত্য বিস্তার করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। তাদের হামলায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইরানের সামরিক বাহিনীও ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।
ইরানের সেনা কর্মকর্তা মাহমুদ মৌসাভি বলেন, ‘আমাদের কিছু আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এটা গোপন করার মতো কিছু নয়। তবে আমাদের সহকর্মীরা দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে সেগুলো আবার প্রতিস্থাপন করেছেন। এই আকাশ প্রতিরক্ষাগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করা ছিল, যাতে আমাদের আকাশ নিরাপদ থাকে।’
ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বশেষ সংঘাত শুরুর আগে ইরানের সামরিক বাহিনীর কাছে রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়া নিজেদের তৈরি দূরপাল্লার বাভার-৩৭৩ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করত তেহরান। সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ইরান নতুন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আমদানি করেছে কি না, তা জানায়নি দেফাহ নিউজ।
পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা
এদিকে আজ ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে নিজেদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে তেহরান। ইউরোপের এই তিন দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান কাজা কালাসের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির বৈঠকের পরই নতুন আলোচনার খবর সামনে এল।
ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করার জন্য দেশটির সঙ্গে ২০১৫ সালে একটি চুক্তি করেছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। পরে ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আবার ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ দফা বৈঠকও হয়েছে। তবে গত মাসে ইসরায়েলের হামলার পর পরবর্তী ধাপের বৈঠক স্থগিত করে তেহরান। এর পর থেকে আলোচনা বন্ধ রয়েছে।