ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) ত্রাণবাহী জাহাজ হান্দালা
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) ত্রাণবাহী জাহাজ হান্দালা

গাজাবাসীর জন্য তাঁরা জাহাজে এনেছিলেন ত্রাণ, ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েল

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) জাহাজ ‘হান্দালাকে’ বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, জাহাজটির আরোহীদের ‘অপহরণ’ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই সময় জাহাজটি গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল বা ৪৭ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল।

বিবৃতিতে এফএফসি জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজটিতে থাকা সব ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে জাহাজটির সঙ্গে সংস্থাটির আর কোনো যোগাযোগ নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হান্দালা নামের জাহাজটিতে কোনো অস্ত্র ছিল না। এটা গাজাবাসীর জন্য ‘জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী’ নিয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে শিশুখাদ্য, ডায়াপার, খাবার, ওষুধ ছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজটির আরোহীদের অপহরণ করে নিয়ে গেছে। জব্দ করা হয়েছে জাহাজে থাকা মালপত্র। গাজা উপকূল তথা ফিলিস্তিনের জলসীমার বাইরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।

জাহাজটিতে ১০টি দেশের মোট ২১ জন ছিলেন বলে জানিয়েছে এফএফসি। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন অধিকারকর্মী। অন্য দুজন আল–জাজিরার সাংবাদিক।

এদিকে গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ ঘটনাকে ‘জলদস্যুতা’ হিসেবে উল্লেখ করে এ জন্য নিন্দা জানাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আমরা জাহাজে থাকা অধিকারকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার জন্য নেতানিয়াহু সরকারকে দায়ী করি। সেই সঙ্গে গাজায় অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এসব ত্রাণবাহী জাহাজের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দিতে আহ্বান জানাই।’

আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মীদের সাহসের প্রশংসা করে বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘ইহুদিবাদীদের হুমকি থাকা সত্ত্বেও তাঁদের (অধিকারকর্মীদের) বার্তা আমাদের জনগণ ও বিশ্বের কাছে পৌঁছেছে।’

আরও পড়ুন:
ম্যাডলিনের পর এবার ত্রাণ নিয়ে গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন জাহাজ হান্দালা