Thank you for trying Sticky AMP!!

নির্বাচনের দাবিতে ইমরানের দ্বিতীয় লংমার্চ, সেনাবাহিনীকে প্রচ্ছন্ন হুমকি

আগামী ৪ নভেম্বর লংমার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে

নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে দ্বিতীয় লংমার্চ শুরু করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। গতকাল শুক্রবার লাহোরে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সেনাবাহিনীর প্রতি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরের লিবার্টি চক থেকে লংমার্চ শুরু হয়। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে পিটিআই চেয়ারম্যান লংমার্চের উদ্বোধন করেন।

এ সময় ইমরান খান বলেন, এই লংমার্চে রাজনীতি নেই, এটি সাধারণ কোনো আন্দোলনও নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই কর্মসূচি হলো মুক্তির জন্য ‘জিহাদ’।
ক্ষমতাসীনদের প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চোরদের’ দাস হয়ে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। নেতা-কর্মীদের তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে মুক্ত করতে প্রস্তুত হোন।’

দাসত্ব মেনে নেবেন না বলে ইচরায় লংমার্চের দ্বিতীয় পথসভায় নিজের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন পিটিআই চেয়ারম্যান। এ সময় জনতার সুনামি ঠেকাতে সরকারে প্রতি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন তিনি।

রাতে প্রথম দিনের মতো লংমার্চ কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। আজ শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ফের লংমার্চ শুরুর কথা রয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর লংমার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লংমার্চ শেষে সেখানে সমর্থকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করতে পারেন ইমরান খান। অবশ্য এ বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না তিনি। পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, মাত্র তো কর্মসূচি শুরু হলো।

এদিকে লংমার্চ চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেনাবাহিনীর প্রতি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই বলতে চাই না। আমি অনেক কিছু বলতে পারি। আমি চাই না পাকিস্তানের শত্রুরা, যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, তারা আমার কথা থেকে সুযোগ নিক। আমার কথায় সেনাবাহিনীর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাপ্রধান। ইন্টার-সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্সের (আইএসআই) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আনজুম বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় ইমরান খান তাঁর সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে সমর্থন দিতে সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন।

Also Read: ইমরান খানের লংমার্চ শুরু শুক্রবার

অবশ্য পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর ইমরান খান বলে আসছেন, গত এপ্রিলে তাঁর সরকারকে উৎখাত করতে সেনাবাহিনী ষড়যন্ত্র করেছিল। সেনাবাহিনী বিরোধীদের সমর্থন দিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেন। তবে সরকারে বাধায় কর্মসূচি সহিংস রূপ নিলে মাঝপথে হঠাৎ কর্মসূচি স্থগিত করেন তিনি।

Also Read: নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের দিকে আঙুল তুললেন আইএসআইপ্রধান