পাইকারি বাজারে চালের মান যাচাই করে দেখছেন একজন গ্রাহক। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাইকারি বাজারে চালের মান যাচাই করে দেখছেন একজন গ্রাহক। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ লাখ টন চাল কিনছে পাকিস্তান

বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য এক লাখ টন চাল কেনার উদ্দেশ্যে একটি দরপত্র আহ্বান করেছে পাকিস্তান ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি)। গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জারি করা এ দরপত্রের খবর আজ সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। আগামী শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে।

বেশ কয়েক বছরের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের পর ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে চলতি বছর দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ টন চাল রপ্তানি করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।

টিসিপির দরপত্র অনুযায়ী, এক লাখ টন লম্বা দানার সাদা চাল (আইআরআরআই-৬) কেনার জন্য কোম্পানি, পার্টনারশিপ ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ‘আলাদা সিল করা দরপত্র’ আহ্বান করা হয়েছে। এই চাল করাচি বন্দর দিয়ে ‘প্যাকেটজাত করে’ মালবাহী জাহাজে করে পাঠানো হবে।

দরপত্র জমা দেওয়ার পর মূল্যপ্রস্তাব ২১ কার্যদিবস পর্যন্ত বৈধ থাকতে হবে। চুক্তির ৪৫ দিনের মধ্যে চালানের জন্য চাল প্রস্তুত থাকতে হবে।

দরপত্রে বলা হয়েছে, যে চাল রপ্তানি করা হবে, তা ‘অবশ্যই পাকিস্তানে উৎপাদন করা হয়েছে এবং সর্বশেষ মৌসুমের হতে হবে’। এতে কোনো অস্বাভাবিক গন্ধ, ছত্রাকের অস্তিত্ব, ক্ষতিকর আগাছার বীজ, পোকা বা সংক্রমণের চিহ্ন থাকা চলবে না। চালের মান এমন হতে হবে, যাতে তা মানুষের খাওয়ার উপযোগী থাকে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা এই দরপত্রকে বাংলাদেশে রপ্তানির তালিকায় পাকিস্তানি চালের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাব্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করলেও বাংলাদেশ সম্প্রতি যেসব চাল কিনেছে, তার কিছু ভারত থেকে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাজারে দাম কমাতে বাংলাদেশ সম্প্রতি চাল আমদানির জন্য আরও কিছু দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে বাংলাদেশ।