অভিনয়ে ফিরতে চান খাইরুল ইসলাম

খাইরুল ইসলাম
খাইরুল ইসলাম

জনপ্রিয় অভিনেতা ও উপস্থাপক খাইরুল ইসলাম (পাখি) দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্ক শহরে বাস করছেন। তাই মঞ্চ বা টিভি নাটকে এখন তাঁকে দেখা যায় না বললেই চলে। মূলত সন্তানদের পড়াশোনার জন্যই তাঁর নিউইয়র্কে আসা এবং থিতু হওয়া। তাঁর মেয়ে গুনগুন ১২ গ্রেড ও ছেলে রাজ্য দশম গ্রেডে নিউইয়র্কের দুটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। তাঁর স্ত্রী জ্যাকলিন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত এবং জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান স্যার উইলিয়াম বেভারেজের প্রতিনিধি। একসময়ের মঞ্চ ও ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেতা খাইরুল ইসলামের দিনকাল এখন কেমন যাচ্ছে?

কিছুদিন আগে খাইরুলের ফেসবুকে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, তিনি সম্প্রতি নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট বা আবাসন ব্যবসা শুরু করছেন। পরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি আন্তর্জাতিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কেলার উইলিয়ামসের ফ্র্যাঞ্চাইজি কেলার উইলিয়ামস ল্যান্ডমার্ক টু–এর সঙ্গে বর্তমানে কাজ করছেন। তার নতুন কর্মস্থল নিউইয়র্ক নগরের কুইন্সে অবস্থিত।

নতুন কর্মজীবন নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় লাইসেন্স পেতে তাঁকে বেশ পড়াশোনা করতে হয়েছে। তার এই নতুন জীবনযাত্রায় পরিবারের কাছ থেকে ব্যাপক সহায়তা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে পড়াশোনা বেশ ভিন্ন আর ভাষার চ্যালেঞ্জতো আছেই। তারপরও অনেকেই নতুন করে বেটার ক্যারিয়ারের জন্য অসময়ে পড়াশোনা করছে। রিয়েল এস্টেট লাইসেন্স পেতে আমাকে একাধিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে। পরিবারের সবার সমর্থন ও সহায়তায় কাজটি সহজ হয়েছে।’

হঠাৎ কেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় জানতে চাইলে অভিনেতা খাইরুল বলেন, নতুন এই কাজের সুবাদে অন্যদের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ভালো সেবা দিতে পারব। এখানে অনেকে নতুন বাড়ি বা বাসা কিনতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ে। বাড়ি কিনতে গিয়ে প্রচুর ভুল করে এবং পরে সে ভুলের মাশুল দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমি তাদের সহায়তা করতে পারব।

অভিনয় বা উপস্থাপনা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে খাইরুল বলেন, নিউইয়র্কে এসে শিল্প–সংস্কৃতির কাজে তেমন অংশ নেওয়া হয়নি। কারণ, নতুন স্থানে এসে থিতু হতেও একটা সময় লাগে। অদূর ভবিষ্যতে আশা করি আবার অভিনয়ে ফিরব।

এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আসলে মঞ্চকে খুব বেশি মিস করি। প্রায় মনে পড়ে, আমার প্রিয় ঢাকা থিয়েটারের কথা। দলের সবাইকে সব সময় মিস করি। মিস করি শিল্পকলা, টিএসসি ও গ্রামের ঘ্রাণ।’