
নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী প্রয়াত জাকির খানের স্ত্রী ন্যান্সি খান ও তাঁর সন্তানরা সরকারি হোমলেস সেন্টারে বসবাস করছেন। সেখানে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জাকির খানের মৃত্যুর পর অনেকে তাঁর পরিবারের পাশে থাকবেন বলে বক্তব্য-বিবৃতি দিলেও এখন তাঁদের কারোর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। জাকির খানের পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
জাকির খান তাঁর বাড়িওয়ালার হাতে খুন হন। তখন এই হত্যার বিচারে সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন। কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, জাকিরের হত্যার ন্যায়বিচারের জন্য তাঁরা লড়বেন। পাশে থাকবেন তাঁর পরিবারের। তাঁরা হত্যাকাণ্ডের বিচার সুনিশ্চিত করতে তহবিল গঠনের কথাও বলেছিলেন। তবে হত্যাকারী নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করায় গ্রেপ্তারের জন্য কোনো আন্দোলন করতে হয়নি।
কিন্তু বর্তমানে জাকিরের স্ত্রী তিন সন্তানকে নিয়ে কেমন আছেন, সে খবর কেউ আর রাখছেন না। জানা যায়, জাকির খানের স্ত্রী দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে ম্যানহাটনের সরকারি হোমলেস সেন্টারের একটি ছোট কক্ষে বসবাস করেছেন। সেখানে রান্নাবান্নার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের খেতে হয় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা খাবার। ন্যান্সি সরকারি সহায়তায় একটি বাসা ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কারণ, ব্রঙ্কসের কোনো বাড়িওয়ালা তাঁদের বাড়ি ভাড়া দিতে সম্মত হননি। যে কারণে তাঁর তিন সন্তানকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে ন্যান্সির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন একজন বাংলাদেশি নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাকির খানের স্ত্রী তাঁর তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিন শিশু বাংলাদেশি খাবার খেতে অভ্যস্ত। কিন্তু তারা নিজেদের পছন্দের খাবার পায় না। ফলে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রের সরবরাহ করা খাবার
খেতে হয়।