Thank you for trying Sticky AMP!!

বাইডেনের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা রুশ হ্যাকারদের

জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারের উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে রুশ হ্যাকার দল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রুশ হ্যাকাররা এই চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করেছে মাইক্রোসফট করপোরেশন।

তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেনের নির্বাচনী প্রচার দলের সঙ্গে এবার কাজ করছে ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রচার কৌশল ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান এসকেডিকেনিকারবোকার। গত দুই মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটি জো বাইডেনসহ একাধিক ডেমোক্র্যাট নেতার প্রচার দলের সঙ্গে কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানটিকেই এখন লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে রুশ হ্যাকাররা।

এ বিষয়ে এসকেডিকের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানেন—এমন ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাকাররা। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী।

এ বিষয়ে এসকেডিকের ভাইস চেয়ার হিলারি রোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জো বাইডেনের মুখপাত্রও এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি হননি। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই অভিযোগকে ‘বাজে কথা’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছেন। এ ধরনের অভিযোগ আগে উঠলেও মস্কো বরাবরই অন্য কোনো দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে বিদেশি কোনো শক্তি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে এসকেডিকে থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কথা জানাল মাইক্রোসফট।

গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে তদন্তও হয়েছে। বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট ম্যুলারের নেতৃত্বে হওয়া সেই তদন্তে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনকে পাখির চোখ করা ডেমোক্র্যাটরা সেই সব তথ্যকে যথাযথ কাজে লাগাতে পারেনি। সেই সময় রবার্ট ম্যুলারের প্রতিবেদনে নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে চলমান প্রচারেও রাশিয়া হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করেছিলেন ম্যুলার।

এ কারণেই মাইক্রোসফটের সতর্কবার্তায় বাইডেনের তথ্য চুরির চেষ্টার কথা না বলা হলেও মনে করা হচ্ছে যে, রুশ হ্যাকারদের লক্ষ্য ডেমোক্র্যাটদের প্রচার কার্যক্রমই ছিল। এসকেডিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিতা ডান ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক। তিনি বাইডেনের প্রচার শিবিরের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করছেন।

নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের কথা অনেক আগে থেকেই বলছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ তিলিকায় এবার রাশিয়ার সঙ্গে রয়েছে চীন ও ইরানের নামও। কিন্তু একে গুরুত্ব দিচ্ছে না হোয়াইট হাউস। উল্টো এ ধরনের সতর্কবার্তাকে এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন খোদ ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) সেক্রেটারি চ্যাড উলফ। তিনি নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ-সম্পর্কিত সতর্কবার্তাগুলোর বদলে ‘উগ্র বামপন্থীদের’ দ্বারা সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলেছেন।

তাঁর এ ধরনের অবস্থানের কথা ফাঁস করে দিয়েছেন ডিএইচএসের গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডারসেক্রেটারি ব্রায়ান মারফি। মারফি জানান, চ্যাড উলফকে এমন অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রিয়েন।

এ ধরনের অভিযোগ অবশ্য হোয়াইট হাউস ও ডিএইচএস উভয়েই অস্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ ম্যাথিউস বলেছেন, ‘আমাদের নির্বাচন বা এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুর নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত কোনো ঝুঁকির বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে, সে বিষয়ে ও’ব্রিয়েন কোনো নির্দেশনা কখনো দেননি। সাবেক কর্মকর্তা যে কথা বলছেন, তা অসত্য।’