মিডলসেক্স কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে হাজির করা হয় চিকিৎসক ডেরিক টডকে। ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ওবার্ন, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র
মিডলসেক্স কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে হাজির করা হয় চিকিৎসক ডেরিক টডকে। ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ওবার্ন, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র

এক দশকে ২০০ রোগীকে ‘যৌন নিপীড়ন’, মার্কিন চিকিৎসককে পেশা ছাড়ার নির্দেশ

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের গ্র্যান্ড জুরি একজন চিকিৎসককে অভিযুক্ত করেছেন। এ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক দশকের বেশি সময়ে দুই শতাধিক রোগীর ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ডেরিক টড। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে কয়েকজন রোগী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ডেরিক টড প্রয়োজন ছাড়াই রোগীদের শ্রোণীদেশের থেরাপি দিয়েছেন এবং স্তন ও জননেন্দ্রীয়ের পরীক্ষা করেছেন। ২০১০ সালের দিকে এমন যৌন নিপীড়ন শুরু করেন তিনি।

গ্র্যান্ড জুরি চিকিৎসক টডকে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকার ও তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর পাসপোর্ট ও চিকিৎসাসংক্রান্ত সব অনুমতিপত্র জমা দেওয়ার এবং চিকিৎসা পেশায় যুক্ত না থাকা ও পাসপোর্ট বা অনুপতিপত্রের জন্য নতুন করে আবেদন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দপ্তর গত বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে বলেছে, এদিন টডকে দুই নারীর যৌন নিপীড়নের মামলায় দুই দফা ধর্ষণে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার টড আদালতের শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। মামলায় ১০ হাজার ডলার মুচলেকায় জামিনে রয়েছেন তিনি।

গ্র্যান্ড জুরি চিকিৎসক টডকে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকার ও তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর পাসপোর্ট ও চিকিৎসাসংক্রান্ত সব অনুমতিপত্র জমা দেওয়ার এবং চিকিৎসা পেশায় যুক্ত না থাকা ও পাসপোর্ট বা অনুপতিপত্রের জন্য নতুন করে আবেদন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি দপ্তরের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানান।

এ দপ্তর থেকে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের জুনে ওই দুই নারীকে ধর্ষণ করেন টড। তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে আরও তদন্ত চলমান রয়েছে।

বোস্টনের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুবিন অ্যান্ড মেয়ারের আইনজীবী উইলিয়াম থম্পসন বলেন, টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাড়তে পারে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ১৮০ জনের বেশি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন।

উইলিয়াম থম্পসন আরও বলেন, ‘চিকিৎসক টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সবে শুরু। তিনি এমন একজন চিকিৎসক, যিনি তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি রোগীদের আস্থার সুযোগ নিয়েছেন।’

টড বোস্টন শহরের ব্রিগহাম অ্যান্ড উইমেন হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক। তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও অপর কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়েছে। কেননা টডের যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলো জেনেও তাঁরা তা রোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন। টডের নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কিশোরী থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ্ব নারীরা রয়েছেন।