Thank you for trying Sticky AMP!!

গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন তদন্তে ট্রাম্পের বাসায় তল্লাশি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো বাসার সামনে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসায় তল্লাশি অভিযানে জারি করা পরোয়ানার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তি আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘন তদন্তে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। খবর এএফপির।

গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত পরোয়ানায় দেখা যায়, মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে বেআইনিভাবে স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা নথি সংরক্ষণ–সম্পর্কিত বিষয় তদন্তে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)।

ফ্লোরিডার এক বিচারক ওই পরোয়ানা এবং এ–সম্পর্কিত বিষয়গুলো উন্মুক্ত করেন। এতে দেখা যায়, ‘অতি গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করে ট্রাম্পের বাসা থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নথি নিয়ে গেছেন গোয়েন্দারা।

Also Read: ট্রাম্পের বাড়ি থেকে গোপন নথি জব্দ করেছে এফবিআই

সাধারণত রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে—এমন অভিযানের ক্ষেত্রে তল্লাশিপরোয়ানা সিলগালা অবস্থায় দাখিল করা হয়। এর মানে পরোয়ানার বিস্তারিত ওই মুহূর্তে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না। পরে এটা প্রকাশ করা হয়।

এ ছাড়া তদন্ত চলাকালে ব্যক্তি অধিকার সুরক্ষায় এ নিয়ে কথা বলেন না তদন্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু ট্রাম্পের বাসায় এফবিআইয়ের অভিযান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। এ অবস্থায় তল্লাশি পরোয়ানার বিষয়বস্তু প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় বিচার বিভাগ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে গত সোমবার তল্লাশি চালিয়ে ১১ সেট অতি গোপনীয় নথি পেয়েছে এফবিআই।

Also Read: এফবিআইয়ের তল্লাশি, কী অপেক্ষা করছে ট্রাম্পের সামনে

এর আগে জানুয়ারিতে মার-এ-লাগো থেকে ১৫টি বাক্স পুনরুদ্ধার করে ন্যাশনাল আর্কাইভস। এতে এমন কিছু উপাদান ছিল, যাকে অতি গোপনীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবারের তল্লাশির আগে ট্রাম্পের আইনি বিপদ নিয়ে জনগণের মধ্যে গুঞ্জন ছিল মূলত প্রেসিডেনশিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্ট ঘিরে। হোয়াইট হাউসে থাকার সময় ট্রাম্পের নথিপত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে তদন্তের অন্য পদক্ষেপগুলোর কারণে এ আইন সামনে আসে।

তবে এটি কোনো ফৌজদারি অপরাধসংক্রান্ত আইন নয়। আইনটিকে তুলনামূলক নখদন্তহীন আইন হিসেবেই দেখা হয়। অন্য যেসব নথি সংরক্ষণ আইন আছে, সেগুলোয় ফৌজদারি দণ্ডের বিষয়টি যুক্ত আছে। তেমনটি একটি আইন হলো মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন।

তবে জব্দ করা নথির বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। নথিগুলোয় গোপন কিছু নেই এবং সেগুলো নিরাপদ।