
দুর্গম এলাকায় তুষারঢাকা রাস্তায় আটকে পড়েছিলেন এক মার্কিন মোটরচালক। চারপাশ সুনসান। কেউ যে তাঁকে রক্ষা করবে, তেমন কেউ নেই। এমনকি মোবাইলে ফোন করতে গিয়ে দেখেন নেটওয়ার্ক পর্যন্ত নেই। পরে তিনি নিজেকে বাঁচাতে এক অভিনব বুদ্ধি আঁটেন।মোবাইল নেটওয়ার্ট না থাকায় তিনি ঠিক কোন জায়গায় আছেন, তা জানিয়ে একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তির উদ্দেশে মোবাইলে খুদে বার্তা টাইপ করেন। এরপর মোবাইলটি ড্রোনে বেঁধে শূন্যে কয়েক শ ফুট ওপরে উড়িয়ে দেন। পরে মোবাইলটি যখন নেটওয়ার্কের ভেতরে ঢোকে তখনই ওই বার্তা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যায়।
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের। ওই ব্যক্তির উইলামেট ন্যাশনাল ফরেস্টে আটকা পড়েছিলেন। শীতকালে ওই সড়কটি কম ব্যবহার হয়।
উদ্ধারকারীরা এই ব্যক্তির যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য প্রশংসা করেন। তবে তাঁরা তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেননি।
লেন কাউন্টি শেরিফ সার্চ ও রেসকিউর তথ্যমতে, ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেল আটকে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন সেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই। তাঁর পরিবার দেশের বাইরে থাকে এবং তিনি এমন কাউকে চেনেন না, যেখানে তিনি যেতে পারেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি যা–ই হোক না কেন, আটকে পড়া ওই ব্যক্তি স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমত, তিনি গাড়িতেই অবস্থান করেছেন।
লেন কাউন্টি শেরিফ সার্চ ও রেসকিউ জানায়, অরেগনে কেউ গাড়িতে আটকে পড়ে অপেক্ষা করলে তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায় ও উদ্ধার হয়। খুব কমই এমন ব্যক্তিদের মৃত্যু হতে দেখা যায়। তবে দুর্ভাগ্যবশত যাঁরা অপেক্ষা না করে হাঁটতে থাকেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়।
ড্রোনের সঙ্গে বাঁধা ফোনটি উঁচুতে ওঠার পর ফোনটি একটি টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ পায় এবং সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠায়। উদ্ধারকারীরা যখন তাঁকে উদ্ধার করেন, তখন আরেকজন মোটরসাইকেল আরোহীকেও উদ্ধার করেন। দ্বিতীয় এই ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে তুষারে আটকা পড়েছিলেন।
কর্মকর্তারা এই ব্যক্তির বুদ্ধিতে খুশি হলেও লোকজনকে শীতকালীন ভ্রমণের সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেন। কোথাও যাওয়ার আগে ঠিক কোথায় যাচ্ছেন এবং কবে নাগাদ ফিরে আসবেন, তা একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে জানিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী দল পরামর্শ দিয়েছে, ‘আপনি রাস্তার একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে যেতে পারবেন কি না, তা অন্যকে জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে, নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন “আমি যদি আটকে যাই, তাহলে কী হবে?”’