Thank you for trying Sticky AMP!!

হ্যারি-মেগানকে তাড়া করা হয়নি, দাবি পাপারাজ্জির

মেগান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারি

নিউইয়র্কের রাস্তায় প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলকে বহন করা গাড়ির পিছু নিয়েছিলেন একদল পাপারাজ্জি। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বেপরোয়াভাবে তাঁদের অনুসরণ করেন তাঁরা। এতে হ্যারি-মেগান ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে গিয়েছিলেন।

গত বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারির মুখপাত্র। কিন্তু সেদিন এমন কিছুই ঘটেনি বলে দাবি করেছেন একজন পাপারাজ্জি। উল্টো তিনি এ ঘটনার জন্য হ্যারি-মেগানের গাড়িচালককে দায়ী করেছেন।

গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় গাড়িতে মার্কেলের মা ডোরিয়া রাগল্যান্ডও ছিলেন। ১৯৯৭ সালে এ রকমই একটি ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানা। সে সময় আলোকচিত্রীরা প্যারিসের রাস্তায় তাঁর গাড়ির পিছু নিয়েছিলেন। তখন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ডায়ানা।

Also Read: হ্যারি-মেগানের ভয়ংকর সেই রাত, ‘অবিশ্বাস্য’ বলছেন মেয়র

হ্যারি-মেগানের এই ঘটনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়। ঘটনাটি নিয়ে হ্যারির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হলেও অভিযুক্তদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এবার যুক্তরাজ্যের আইটিভি একজন পাপারাজ্জির সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যিনি গত মঙ্গলবার হ্যারি-মেগানের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই আলোকচিত্রী বলেন, ‘তাঁদের (হ্যারি-মেগানের) গাড়ির সঙ্গে কোনোভাবেই পাল্লা দেওয়া যাচ্ছিল না। ওই গাড়ির চালক বিভিন্নভাবে আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমাদের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। মূলত গাড়িচালক নিজেই এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন।’

ওই আলোকচিত্রী আরও বলেন, হ্যারি ও মেগানের চালক দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছিলেন। ঘন ঘন লেন পরিবর্তন করেন তিনি। এটা করতে গিয়ে উল্টো পথেও গিয়েছিলেন তিনি।

Also Read: হ্যারি-মেগান ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, বললেন ক্যাবচালক

এদিকে নিউইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সেদিন কোনো সংঘর্ষ, আহত কিংবা গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি। হ্যারি-মেগানের গাড়িকে দুই ঘণ্টা ধরেও তাড়া করা হয়নি।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, ‘হ্যারি ও মেগান দম্পতিকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বেপরোয়াভাবে অনুসরণ করা হয়েছে, এই কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছি না।’