ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (ছবিতে নেই) সঙ্গে বৈঠককে সামনে রেখে ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৮ আগস্ট ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (ছবিতে নেই) সঙ্গে বৈঠককে সামনে রেখে ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৮ আগস্ট ২০২৫

রয়টার্স/ইপসোস জরিপ

ট্রাম্পের সমর্থন নেমে মেয়াদের তলানিতে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ৪০ শতাংশে স্থির রয়েছে। এটি তাঁর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মেয়াদে সর্বনিম্ন।

গতকাল সোমবার শেষ হওয়া রয়টার্স/ইপসোস জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষ করে হিসপ্যানিক ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন কমেছে।

ছয় দিন ধরে এ জরিপ চালানো হয়। এটি এমন সময় করা হয়, যখন নতুন অর্থনৈতিক তথ্য জানাচ্ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার দুর্বল হচ্ছে। আবার ট্রাম্প নিজ দেশে অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালাচ্ছেন এবং অন্যদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যস্ত রয়েছেন।

গত জুলাইয়ের শেষ দিকে হওয়া জরিপের সঙ্গে তুলনা করলে এবার ট্রাম্পের সমর্থনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথম দিকে তাঁর সমর্থন ছিল ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ তখন থেকে ৭ শতাংশ সমর্থন কমে গেছে।

গত জুলাইয়ের শেষ দিকে হওয়া জরিপের সঙ্গে তুলনা করলে এবার ট্রাম্পের সমর্থনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথম দিকে তাঁর সমর্থন ছিল ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ তখন থেকে ৭ শতাংশ সমর্থন কমে গেছে।

সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়া হিসপ্যানিক জনগোষ্ঠীও এখন তাঁর প্রতি ইতিবাচক নয়। এ গোষ্ঠীর মাত্র ৩২ শতাংশ তাঁর কাজের প্রতি সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। এটি এ বছর ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সবচেয়ে কম সমর্থন হার।

অপরাধ দমনে ট্রাম্পের কার্যক্রমকে মাত্র ৪২ শতাংশ সমর্থন করেছেন। আর অভিবাসন নীতিতে তাঁর কাজকে ভালো বলেছেন ৪৩ শতাংশ। সব ক্ষেত্রেই ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থন এসেছে রিপাবলিকান ভোটারদের কাছ থেকে।

জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন; যদিও তিনি দাবি করছেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তিচুক্তি করাই তাঁর লক্ষ্য। এই ৫৪ শতাংশের মধ্যে পাঁচ রিপাবলিকান সমর্থকের একজনও রয়েছেন। ট্রাম্প এমনকি রাশিয়ার এ দাবিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন যে যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনকে দেশটির কিছু এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।

গত শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। আর গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং তাঁর ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক শুরু হওয়ার কিছু আগে জরিপ শেষ হয়।

অপরাধ দমনে ট্রাম্পের কার্যক্রমকে মাত্র ৪২ শতাংশ সমর্থন করেছেন। আর অভিবাসন নীতিতে তাঁর কাজকে ভালো বলেছেন ৪৩ শতাংশ। সব ক্ষেত্রেই ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থন এসেছে রিপাবলিকান ভোটারদের কাছ থেকে।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প দেশে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেন। মুখোশধারী এজেন্টদের দিয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার করা হয়। এ নীতি বড় ধরনের প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে; বিশেষ করে লস অ্যাঞ্জেলেসে। সেখানে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই লাতিনো ও অনেকের পরিবারের সদস্য সম্প্রতি অভিবাসী হয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ফেডারেল এজেন্ট ও ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাঁর দাবি, সেখানে অপরাধ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে সহিংস অপরাধ বেড়েছিল, কিন্তু এরপর দ্রুত কমতে শুরু করেছে।