শিয়ান হাবারলির কোলে ১০ বছর পর খুঁজে পাওয়া তাঁর প্রিয় বিড়াল ‘আশা’
শিয়ান হাবারলির কোলে ১০ বছর পর খুঁজে পাওয়া তাঁর প্রিয় বিড়াল ‘আশা’

১০ বছর পর পাওয়া গেল হারানো বিড়াল

কল্পনা করুন, আপনি ১০ বছর ধরে আপনার প্রিয় বিড়ালকে খুঁজে পাচ্ছেন না। হঠাৎ একদিন পোষা প্রাণীর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফোন এল। বলা হলো, ‘আপনার বিড়াল খুঁজে পাওয়া গেছে।’

নিশ্চয়ই খুশিতে লাফ দিয়ে উঠবেন কিংবা বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন! ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাসিন্দা শিয়ান হাবারলির সঙ্গে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের মন্টেক্লেয়ার টাউনশিপ অ্যানিমেল শেল্টার নামের একটি পোষা প্রাণীর আশ্রয়কেন্দ্র সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, কিছুদিন আগে এক সুহৃদ ব্যক্তি রাস্তা থেকে একটি বিড়াল উদ্ধার করে তাদের কাছে নিয়ে আসে।

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘প্রথমে আমরা বিড়ালটির শরীরে স্থাপন করা মাইক্রোচিপ স্ক্যান করি।’

মাইক্রোচিপ হলো একটি ছোট ইলেকট্রনিক চিপ, যা পোষা প্রাণীর ত্বকে স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে প্রাণীর মালিক ও পরিচয় শনাক্ত করা যায়। স্ক্যানের মাধ্যমে জানা যায়, বিড়ালটির মালিক শিয়ান হাবারলি। বিড়ালের নাম ‘আশা’।

২০১৫ সালে ‘আশা’ নিখোঁজ হয়েছিল। তখন শিয়ান হাবারলি নিউ জার্সির মন্টেক্লেয়ারে থাকতেন। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কের ফিঙ্গার লেকসে বসবাস করেন।

মন্টেক্লেয়ার টাউনশিপ অ্যানিমেল শেল্টার জানায়, মাইক্রোচিপ স্ক্যান করার পর দেখা যায়, বিড়ালটি নিবন্ধিত এবং যাঁর নামে নিবন্ধিত, তিনি এখনো একই ফোন নম্বর ব্যবহার করছেন।

পরে শেল্টার থেকে মালিককে ফোন করে বলা হয়, আপনার বিড়াল ‘আশা’কে খুঁজে পাওয়া গেছে। শুনে শিয়ান প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘প্রথম আমি ভেবেছিলাম হয়তো কেউ প্রতারণা করার চেষ্টা করছেন। পরে আমার স্ত্রী সব তথ্য যাচাই করে দেখলেন, সত্যিই আশাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।’

শিয়ান জানান, তিনি ১০ বছর আগে বিড়ালটিকে দত্তক নিয়েছিলেন। একবার বিড়ালটি তাঁর ঘরের খোলা জানালা দিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর বছরের পর বছর সেটিকে খুঁজেছেন। এত বছর পর প্রিয় বিড়ালকে পেয়ে আবেগাপ্লুত শিয়ান ও তাঁর পরিবার।