হোয়াইট হাউসে আয়োজিত নৈশভোজে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে করমর্দন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত নৈশভোজে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে করমর্দন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের বৈঠকের উল্লেখযোগ্য বিষয় কী কী ছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে হোয়াইট হাউসে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। সৌদি যুবরাজের এই সফর রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে স্বাগত জানাতে লালগালিচা বিছিয়ে দেয়। ট্রাম্প তাঁকে এমন এক অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান, যেখানে ছিল বাদক দল, পতাকাবাহী অশ্বারোহী বাহিনী এবং সামরিক বিমানের প্রদর্শনী।

এই বিলাসবহুল আতিথেয়তার মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন রূপে গড়তে চাইছেন, যেখানে থাকবে আর্থিক বিনিয়োগ এবং এ অঞ্চলের মিত্রদের সঙ্গে মার্কিন অংশীদারত্ব। বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের বিষয়টি এর কেন্দ্রে থাকবে।

মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ট্রাম্প দুজনই ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন এবং উত্তর দিয়েছেন।

ট্রাম্প এবং মোহাম্মদের বৈঠক থেকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এসেছে, তার মধ্যে মার্কিন-সৌদি প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়টি রয়েছে।

ট্রাম্প ও মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠকের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প বারবারই বলেছেন, তিনি চাইছেন সৌদি আরব তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিক। ওই চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার যুবরাজ মোহাম্মদ এবং ট্রাম্প এ বিষয়ে সম্ভাব্য অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি তাঁরা। সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কেও কিছু বলেননি।

তবে যুবরাজ আবারও উল্লেখ করেছেন, সম্ভাব্য কোনো চুক্তির অংশ হিসেবে রিয়াদ একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রগতি চায়।

সাংবাদিকদের যুবরাজ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাটা ভালো এবং আমরাও আব্রাহাম চুক্তির অংশ হতে চাই। তবে আমরা একই সঙ্গে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য একটি সুস্পষ্ট পথ নিশ্চিত করতে চাই। এ নিয়ে কাজ করার বিষয়ে আজ প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এর ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করতে হবে।’

সৌদি কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি রিয়াদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আরব শান্তি উদ্যোগে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, এ বিষয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এক রাষ্ট্র ও দুই রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে কথা বলেছি। আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছুদিনের মধ্যে আমরা এ নিয়ে আরও আলোচনা করব।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প বারবারই বলেছেন যে তিনি চাইছেন সৌদি আরব তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিক। ওই চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার যুবরাজ মোহাম্মদ এবং ট্রাম্প এ বিষয়ে সম্ভাব্য অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ন্যাটোর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা

হোয়াইট হাউসে গতকাল সৌদি যুবরাজের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র রিয়াদকে ‘ন্যাটোর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র’ (নন-ন্যাটো মেজর অ্যালাই) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এ ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া দেশগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম পাওয়া, বিক্রি ও অন্যান্য সহযোগিতা পাওয়াটা সহজ হয়। তা ছাড়া এ ধরনের দেশগুলোকে জটিল লাইসেন্স প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় না। অথচ অন্যান্য দেশকে অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থা কেনার সময় জটিল প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়।

সৌদি আরবের আগে ‘ন্যাটোর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়া দেশের সংখ্যা ছিল ১৯। এগুলো হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মিসর, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, কেনিয়া, কুয়েত, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও তিউনিসিয়া। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকেও এই মর্যাদার সমতুল্য বলে বিবেচনা করে।

হোয়াইট হাউস আলাদা করে দেওয়া এক ঘোষণায় বলেছে, ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ বিন সালমান একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এটি ৮০ বছরের বেশি সময় ধরে দুই দেশের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও জোরদার করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

অবশ্য চুক্তির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক সপ্তাহের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করল সৌদি আরব। সেপ্টেম্বরে কাতারে ইসরায়েলি হামলার পর উপসাগরীয় মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করতে পারবে কি না, তা নিয়ে অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। ওই হামলার পর সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তিটি হয়েছিল।

গত সোমবার ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, তিনি সৌদি আরবের কাছে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দেবেন।

বৈঠকে সৌদি যুবরাজকে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা চাইবে আপনাদের কম সক্ষমতাসম্পন্ন বিমান দেওয়া হোক। আমি মনে করি, এটা আপনাদের খুব একটা খুশি করবে না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তারা (সৌদি আরব) চমৎকার মিত্র। ইসরায়েলও চমৎকার মিত্র। আমরা ঠিক এখন এ বিষয়টি বিবেচনা করছি। কিন্তু আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি উভয়েরই সর্বোচ্চ মানের সরঞ্জাম পাওয়া উচিত।’

হোয়াইট হাউসে গতকাল সৌদি যুবরাজের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র রিয়াদকে ‘ন্যাটোর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র’ (নন-ন্যাটো মেজর অ্যালাই) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ট্রাম্পের দাবি, ইরান চায় চুক্তি

ট্রাম্প আবারও গত জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এটা সবার পক্ষ থেকে করেছি এবং ফলাফল অসাধারণ ছিল। কারণ, আমাদের আছে সেরা পাইলট, সেরা সরঞ্জাম, সেরা যুদ্ধবিমান এবং সেরা সবকিছু।’

পরে ইরান সম্পর্কে সুর নরম করে ট্রাম্প বলেন, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে চাইছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে একেবারেই পথ খোলা রেখেছি এবং আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইরানের সঙ্গে চুক্তি হওয়াটা ভালো হবে। যুদ্ধের আগে আমরা এটা করতে পারতাম, কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমি মনে করি, সেখানে কিছু ঘটবেই।’

সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএর খবরে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে একটি হাতে লেখা চিঠি পেয়েছিলেন। তবে চিঠির বিস্তারিত জানানো হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র-ইরান চুক্তিকে সমর্থন জানাবে।

যুবরাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চুক্তিতে সহায়তা করতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাব। আমরা বিশ্বাস করি, একটা ফলপ্রসূ চুক্তি হওয়াটা ইরানের ভবিষ্যতের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে। যদি একটি চুক্তি হয়, তাহলে তা অঞ্চল, বিশ্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও সন্তুষ্ট করবে।’

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে বৈঠক হয়। ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

এক লাখ কোটি ডলারের বিনিয়োগ

বৈঠকের পর দেওয়া বক্তব্যের শুরুতেই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর আশা, ভবিষ্যতে এ বিনিয়োগের পরিমাণ লাখ কোটি ডলার হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মত হওয়ায় আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যেহেতু আমার বন্ধু, সে ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক লাখ কোটি ডলারেও পৌঁছাতে পারে। তবে আপনার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, সৌদি অর্থ মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চাকরি ও সম্পদ সৃষ্টি করবে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বলেন, সৌদি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে এক লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আজ আমরা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিরল উপাদান, চুম্বক ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে চুক্তি স্বাক্ষর করছি, তা বিনিয়োগের অনেক সুযোগ তৈরি করবে।’

ট্রাম্পের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সৌদি যুবরাজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ’। সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদীয়মান প্রযুক্তির ভিত্তি’ তৈরিতে অংশীদার হতে চায়।

প্রশংসা ও হাসি

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর পর থেকেই ট্রাম্প ও যুবরাজ দুজনই হাসিমুখে ছিলেন এবং প্রশংসামূলক মন্তব্য বিনিময় করছিলেন।

একপর্যায়ে ট্রাম্প যুবরাজ মোহাম্মদের হাত ধরেন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেন। বলেন, বাইডেন ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় রিয়াদে যুবরাজের সঙ্গে কেবল মুষ্টিবদ্ধ হ্যান্ডশেক করেছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সেই হাত ধরেছি। এই হাত আগে কোথায় ছিল, তা আমি মোটেও পাত্তা দিই না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সৌদি যুবরাজকে ‘চমৎকার’ এবং ‘দুর্দান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আজ ওভাল অফিসে আমরা একজন অত্যন্ত সম্মানিত মানুষকে পেয়েছি। তিনি আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু—আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি তাঁর কাজ নিয়ে গর্বিত। মানবাধিকার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তিনি যা করেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ।’

এরপর ট্রাম্প এবিসি নিউজের এক সাংবাদিককে তিরস্কার করেন। তাঁর অভিযোগ, ওই সাংবাদিক যুবরাজকে চ্যালেঞ্জিং প্রশ্ন করে অসম্মান করেছেন।

পরে একই সাংবাদিক ট্রাম্পকেও প্রশ্ন করেন। জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি স্বেচ্ছায় যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইন সম্পর্কিত সরকারি নথি প্রকাশ করবেন না। তখন ট্রাম্প খেপে গিয়ে বলেন, এবিসি নিউজের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করা উচিত।

ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি একজন ভয়ংকর মানুষ এবং ভয়ংকর সাংবাদিক।’