মানববন্ধনে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাইজা মেহজাবিন বলেন, এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত শনিবার এক ব্যক্তি সুফিয়া কামাল, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা হলে গভীর রাতে মেয়েদের রাতভর যৌন নিপীড়নমূলক কথা বলেন। এ ঘটনায় এখনো দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা বা দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে তাঁরা দেখেননি। আবাসিক হলে একের পর এক চুরি ও উত্ত্যক্তের ঘটনায় তাঁরা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়া সাহা বলেন, ‘ইদানীং ক্যাম্পাসে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা আমাদের ক্যাম্পাসের চিরাচরিত পরিবেশের বিপরীত। ওই ঘটনার পর আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমরা চাই, অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ হোসনে আরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ওই ঘটনার পর হলে সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। গার্ডের সংখ্যা তিন থেকে চারে উন্নীত করেছি। হলের চারপাশে লাইট লাগানো হয়েছে। ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা কিছু করা দরকার, সব উদ্যোগ নিয়েছি।’
উপাচার্য নূরুল আলম বলেন, প্রাধ্যক্ষ কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।