আইপিএল ২০২৪: নিলামে মিলিয়নিয়ার, মাঠে ‘ফ্লপ’ যাঁরা

কোলাজপ্রথম আলো
আইপিএলে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় বিক্রি হওয়া মানেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিশ্চিত নয়—এর জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়ে আছেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, যুবরাজ সিং, ইরফান পাঠান, অ্যারন ফিঞ্চ, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, বেন স্টোকস, ক্রিস মরিসরা। ব্যতিক্রম নয় ২০২৪ আইপিএলও। এবারও চড়া দামে বিক্রি হওয়া কয়েকজন খেলোয়াড় মাঠে একেবারেই মলিন। টাকার মূল্য বোঝাতে না পারা সেসব খেলোয়াড়কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক রসিকতাও চলছে। নিলামে মিলিয়নিয়ার হয়েও মাঠে ফ্লপ—এবারের আইপিএলে এমন কজন খেলোয়াড়কে নিয়েই এই আয়োজন।

মিচেল স্টার্ক (কলকাতা নাইট রাইডার্স)

আইপিএল নিলাম ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক
এএফপি

মিচেল স্টার্কের একটি বলের মূল্য ২৯ লাখ ৪৬ হাজার রুপি, আর একটি উইকেটের মূল্য ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার রুপি—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারের পারফরম্যান্সের হিসাব এভাবে করা হচ্ছে। আসলে এটা তো হিসাবের নামে স্টার্ককে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের রসিকতা। এবারের আসর দিয়ে ৯ বছর পর আইপিএলে ফিরেছেন স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার এই সর্বজয়ী তারকাকে নিলাম ইতিহাসের রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু ৩৪ বছর বয়সী বোলারের পেছনে এত টাকা ঢেলে শাহরুখ খানের দল ভুল করেছে কি না, তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। স্টার্ক এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ১১.০০ ইকোনমি রেটে রান বিলিয়েছেন, উইকেট নিয়েছেন মাত্র দুটি

আরও পড়ুন

প্রথম দুই ম্যাচে তো বোলিংয়ে তাঁকে বেদম পিটুনি খেতে দেখে (৪ ওভারে ৫৩/০ ও ৪ ওভারে ৪৭/০) গড়পড়তা মানের বোলার মনে হচ্ছিল। সে তুলনায় পরের ২ ম্যাচে কিছুটা ভালো করেছেন (৩ ওভারে ২৫/২ ও ৩ ওভারে ২৯/০)। কিন্তু স্টার্কের পেছনে কলকাতা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, তাতে তাঁর কাছে একাধিক ম্যাচ জেতানো স্পেল আশা করা দোষের কিছু নয়। আগামী ম্যাচগুলোয় স্টার্ক নিজের মূল্য বোঝাতে পারবেন কি না, সময়ই বলে দেবে। যদি তা না পারেন, তাহলে নিশ্চয় আইপিএল ইতিহাসের ‘সুপার ফ্লপ মিলিয়নিয়ার’ হয়ে থাকবেন।

ড্যারিল মিচেল (চেন্নাই সুপার কিংস)

১৪ কোটি রুপির ড্যারিল মিচেল ইনিংস বড় করতে পারছেন না
এএফপি

তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানদের একজন ড্যারিল মিচেল। নিউজিল্যান্ডের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ধারাবাহিকতার পুরস্কারও পেয়েছেন। তাঁকে ১৪ কোটি রুপিতে কিনে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, যা এবারের আইপিএল নিলামে তৃতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের সতীর্থ মিচেল চেন্নাইয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ৫ ম্যাচে ২৯.৫০ গড়ে করেছেন ১১৮ রান; ১২৫.৩৩ স্ট্রাইক রেটও আহামরি নয়। ২২, ২৪*, ৩৪, ১৩, ২৫—রানসংখ্যা দেখে বোঝা যায় মিচেলের শুরুটা ভালোই হয়েছিল; কিন্তু ইনিংসগুলো বড় করতে পারেননি। ২৪ রানের যে ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন, সেটিতেও গিলে ফেলেছিলেন ২০ বল। টুকটাক বোলিংও পারেন মিচেল। তবে চেন্নাই তাঁকে বোলিংয়ে সেভাবে কাজে লাগায়নি। এবারের আসরে একবারই হাত ঘুরিয়েছেন। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।

আরও পড়ুন

৫ ম্যাচে ৩ জয়ে এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার তিনে আছে চেন্নাই। সামনের ম্যাচগুলোয় বড় ইনিংস উপহার দিয়ে মিচেল দলকে প্লে অফে তুলতে ভূমিকা রাখবেন, চেন্নাই-সমর্থকেরা তাঁর কাছ থেকে তেমন আশাই করবেন।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)

সেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এখন যেন পালিয়ে যেতে পারলে বাঁচেন
আইপিএল ওয়েবসাইটের ভিডিও থেকে নেওয়া

আকাশে উড়তে থাকা কারও ভূপতিত হতে কত সময় লাগতে পারে? গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জন্য ৫ মাসের ব্যবধানে দুটি ছবিই তফাত বোঝানোর জন্য যথেষ্ট। গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েলের ২০১ রানের অতিমানবীয় ইনিংসটির কথা কে ভুলতে পারেন! আহত ম্যাক্সওয়েল এক পায়ে ভর দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে তোলার পর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সিঁড়ি বেয়ে যখন বীরের বেশে ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, তখন দর্শকেরা দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে সম্মান জানাচ্ছিলেন। সেই ওয়াংখেড়েই গত বৃহস্পতিবার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর ম্যাক্সওয়েল যখন মাথা নুইয়ে সিঁড়িতে উঠছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল, তিনি যেন পালিয়ে যেতে পারলে বাঁচেন! অস্ট্রেলিয়ার ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা খেলোয়াড়ের হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ফেলা এবারের আইপিএলে সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলেও হতে পারে। ২০২২ সালের মেগা নিলামে ১১ কোটি রুপিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে বিক্রি হওয়া ম্যাক্সওয়েল এ মৌসুমে ৬ ম্যাচে মাত্র ৫.৩৩ গড়ে করেছেন ২৮ রান। এর মধ্যে তিনটিতেই মেরেছেন ডাক। ৯৪.১২ স্ট্রাইক রেট তাঁর নামের সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না।

আরও পড়ুন

বোলিংয়েও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি ক্রিকেটের ‘বিগ শো’ নামে পরিচিত ম্যাক্সওয়েল। ৮.৪৪ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বেঙ্গালুরু ৬ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে আছে। দলটির রুগ্ণ দশার অন্যতম কারণ যে ম্যাক্সওয়েলের নিষ্প্রভতা, সেটা না বললেও চলে।  

ক্যামেরন গ্রিন (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)

টানা ব্যর্থতার পর বেঙ্গালুরু দলে জায়গা হারিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন
এএফপি

এবারের আইপিএলে হতাশজনক পারফর্ম করা আরেক মিলিয়নিয়ার অস্ট্রেলিয়ান হলেন ক্যামেরন গ্রিন। ২০২৩ আইপিএলের নিলামে গ্রিনকে ১৭ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এবারের নিলামের আগে তাঁকে সেই দামেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে বিক্রি করে দেয় মুম্বাই। তবে নিজের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ৫ ম্যাচে মাত্র ১৭ গড়ে করেছেন ৬৮ রান। স্ট্রাইক রেটও টি-টোয়েন্টির দাবি মেটানোর মতো নয়; ১০৭.৯৪। মাঝের ওভারগুলোয় রানের গতি বাড়ানোর জন্য বেঙ্গালুরু গ্রিনের ওপর ভরসা করলেও একটিতেও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।

আরও পড়ুন

বল হাতেও তিনি বেশ খরুচে। ৯.৪০ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন মাত্র ২টি উইকেট। বারবার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হওয়ায় শেষমেশ বেঙ্গালুরুর একাদশে জায়গা হারিয়েছেন গ্রিন। নিজের সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে গ্রিনকে বসিয়ে রাখে বেঙ্গালুরু ম্যানেজমেন্ট। তাঁর পরিবর্তে অভিষেক হয় উইল জ্যাকসের। এই ইংলিশ অলরাউন্ডার প্রথম ম্যাচে খুব একটা ভালো করতে না পারলেও (ব্যাটিংয়ে ৮ বলে ৮ রান, বোলিংয়ে ২ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট) তাঁকে যে আরও অন্তত একটি ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হবে, সে অনুমান করাই যায়। পরের ম্যাচে জ্যাকস দারুণ কিছু করে ফেললে গ্রিনকে হয়তো মৌসুমের বাকিটা সময় বেঞ্চ গরম করেই পার করে দিতে হবে।

স্যাম কারেন (পাঞ্জাব কিংস)

স্যাম কারেনের নেতৃত্বে গত রাতে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে গেছে পাঞ্জাব কিংস
এএফপি

ইংল্যান্ডকে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে দারুণ অবদান রেখেছিলেন স্যাম কারেন। বিশ্বকাপের ফাইনাল ও টুর্নামেন্ট-সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি নিয়ে এসেছিলেন নিলামে। তরুণ এই অলরাউন্ডারের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। তবে নিলামে তাঁকে নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাঁকে দলে ভেড়ায় পাঞ্জাব। এবারের মৌসুমের আগে তিনিই ছিলেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। শুধু নিলাম নয়, সব মিলিয়েই আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ক্রিকেটার হয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন

সেই দামেই কারেনকে এ বছর ধরে রাখে পাঞ্জাব। কিন্তু চড়া দামের মূল্য দিতে পারছেন কই? আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ ফিফটি করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেও এর পর থেকে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে। তাঁর পরের ৫টি ইনিংস ২৩, ০, ৫, ২৯ ও ৬। ৬ ম্যাচে ২১ গড়ে ১২৬ রান করা কারেনের স্ট্রাইক রেটও খুব একটা সুবিধার নয়; ১২০.০০, যা আগের চার মৌসুমের স্ট্রাইক রেটের চেয়ে অনেক কম। সে তুলনায় বল হাতে কিছুটা ভালো করেছেন। ৬ ম্যাচে ৮.৪৪ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৮ উইকেট। শিখর ধাওয়ান চোটে পড়ায় গত রাতে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে পাঞ্জাবকে নেতৃত্বও দিয়েছেন কারেন। তবে পয়েন্ট তালিকার আটে থাকা দলটির ভাগ্য বদলায়নি। শেষ ওভারে শিমরন হেটমায়ারের দুই ছক্কায় রাজস্থানের কাছে ৩ উইকেটে হেরে গেছে কারেনের দল।

আলজারি জোসেফ (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)

চড়া দামের মূল্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন আলজারি জোসেফ
বিসিসিআই

৩.৪ ওভার-১ মেডেন-১২ রান-৬ উইকেট। ২০১৯ সালে আইপিএলে আবির্ভাবেই এমন বোলিং করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন আলজারি জোসেফ, যা এখনো প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার। সে মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন জোসেফ, ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসের সদস্যও ছিলেন। এবার তাই বড় আশা নিয়ে জোসেফকে কিনেছিল কখনোই শিরোপা জিততে না পারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাঁকে দলে ভেড়াতে নিলামে বেঙ্গালুরুতে দাম হাঁকাতে হয় ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপি, যা তাঁকে করে তোলে এবারের আসরের পঞ্চম দামি খেলোয়াড়। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল-গ্রিনের মতো জোসেফও দলকে হতাশ করেছেন।

আরও পড়ুন

বোলিংয়ে বেঙ্গালুরুর চিরকালীন দুর্দশা এবার আরও বেড়েছে ২৭ বছর বয়সী এই ক্যারিবিয়ানের নির্বিষ বোলিংয়ের কারণে। ৩.৪ ওভারে ৩৮/০, ৪ ওভারে ৪৩/১, ২ ওভারে ৩৪/০—এই হলো এবারের আইপিএলে জোসেফের বোলিং পারফরম্যান্স। ইকোনমি রেট ভয়ংকর; ১১.৯০। প্রথম ৩ ম্যাচে বাজে বোলিংয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থকদের দাবির মুখে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে বেঙ্গালুরু।  

হর্শাল প্যাটেল (পাঞ্জাব কিংস)

পাঞ্জাব কিংসের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হর্শাল প্যাটেল
বিসিসিআই

২০২১ আইপিএলে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন হর্শাল প্যাটেল, যা ওই আসরে তো বটেই; সব আসর মিলিয়ে ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে যৌথ সর্বোচ্চ। সেই মৌসুমে দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কারস্বরূপ ভারতের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন হর্শাল, ছিলেন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও। আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির প্রতীক ‘পার্পল ক্যাপ’-এর সঙ্গে মিল রেখে কেউ কেউ তাঁকে ‘পার্পল প্যাটেল’ নামেও ডাকতে শুরু করেন। তবে ২০২২ ও ২০২৩ আইপিএলে খুব একটা ভালো করতে না পারায় (২৮ ম্যাচে ৮.৬৬ ইকোনমি রেটে ৩৩ উইকেট) তাঁকে ছেড়ে দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ৩৩ বছর বয়সী পেসার এবারের নিলামে অবশ্য বাজিমাত করেন। তাঁকে ১১ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনে নেয় পাঞ্জাব কিংস। তিনি হয়ে যান এবারের নিলামের চতুর্থ সর্বোচ্চ দামি এবং ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। কিন্তু চড়া দামের মান রাখতে পারেননি হর্শাল। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন ৭টি, রান বিলিয়েছেন দেদার। ইকোনমি রেট ১০.৫৫। প্রথম ৪ ম্যাচের প্রতিটিতেই তো তিনি ন্যূনতম ৪৪ রান করে দিয়েছিলেন। মূলত বেদম মার খাওয়ার কারণে সর্বশেষ ম্যাচে তাঁর বোলিং কোটা পূরণ করানো হয়নি।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া পরিচিতি খেলোয়াড়দের মধ্যে চড়া দামে বিক্রি হওয়া হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ সিরাজ, শিখর ধাওয়ান, মিচেল মার্শরা এখন পর্যন্ত নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১০ কোটি রুপিতে গুজরাট টাইটানসে বিক্রি হওয়া অস্ট্রেলিয়ান পেসার স্পেনসার জনসনের পারফরম্যান্সও আশাব্যঞ্জক নয় (৪ ম্যাচে ৯.২১ ইকোনমি রেটে ৩ উইকেট)। সবচেয়ে দামি ১০ খেলোয়াড়ের তালিকায় থাকা রাইলি রুশো (৮ কোটি রুপি) তো এখনো খেলারই সুযোগ পাননি। ৭ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে বিক্রি হওয়া রোভম্যান পাওয়েল গত রাতে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেয়েছেন।