আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে আলোচনায় আসতে চায় নব্য জেএমবি: পুলিশ

আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কাউসার হোসেন।
 ছবি: সংগৃহীত

নব্য জেএমবির কথিত আমির মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালী স্লিপার সেলের মাধ্যমে নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে আলোচনায় আসতে চায় সংগঠনটি। সংগঠনের সামরিক শাখার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এই তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজন হলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার এবং কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা। গতকাল রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে কাউসার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে সিটিটিসি। সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড–সংলগ্ন পুলিশ বক্সের পাশে শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়। পরে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে সিটিটিসির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল। ওই ঘটনার তদন্তে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়, আর কাউসারকে গ্রেপ্তার করা হয় পল্লবী থানার একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে আলোচনায় আসতে চায় নব্য জেএমবি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জে দুটি পৃথক জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। আব্দুল্লাহ আল মামুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এবং কাউসারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা এলাকার আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। আড়াইহাজারের আস্তানা থেকে তিনটি শক্তিশালী আইইডি ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আড়াইহাজারের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন বোমা তৈরির কারিগর ও প্রশিক্ষক, আর কাউসার নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষক। তিনি সংগঠনের সামরিক শাখার অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনলাইনে ও অফলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন। নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালীর সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। অভিযানে উদ্ধার হওয়া আইইডির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তাঁদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন ভিন্ন গ্রুপের জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কাউসার হোসেন স্লিপার সেলে কাজ করতেন। তাঁদের আমিরের নির্দেশে আলাদাভাবে কাজ করতেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে কোনো যোগসাজশ রয়েছে এমন তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কথিত আমিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।