
বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনে যাবেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলটরা। এ নিয়ে আজ বুধবার পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) নির্বাহী কমিটি জরুরি বৈঠকে বসছে। বৈঠক থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বাপা সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
গত সোমবার বাপা এক চিঠিতে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে পাইলটরা চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করবেন না।
পাইলটরা বলছেন, করোনাকালে পাইলটরা ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পাইলট। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। তবু পাইলটদের বেতন কর্তন করা হয়েছে। বিমানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। অথচ তাঁদের বেতন কর্তন করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জারি করা এক আদেশে দেখা যায়, বিমানের বেতনক্রম ৬ থেকে তদূর্ধ্ব তথা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কর্তনের হার কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। আর যেসব পাইলট ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত চাকরি করছেন, তাঁদের কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর যাঁরা ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করছেন, তাঁদের কর্তনের হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সম্মুখসারিতে থাকা পাইলটদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। এ সিদ্ধান্ত অমানবিক ও চুক্তির শর্তবহির্ভূত।
এ বিষয়ে জানতে বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) এ বি এম ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।