আফগানিস্তানে যাওয়া বাংলাদেশিরা ফিরলেই গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম
ফাইল ছবি

তালেবানের আহ্বানে আফগানিস্তানে যাওয়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরলেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার ডিএমপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শফিকুল ইসলাম। অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু একা পুলিশকে দিয়ে নয়, প্রত্যেক অভিভাবক, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রত্যেক মানুষকে পুলিশকে সহযোগিতা করা উচিত। কারও সন্তান কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে, কোনো খোঁজ পাওয়া না গেলে তা পুলিশকে জানানো উচিত।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালেবান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেওয়ার পর তারা ঘোষণা করবে, তারাই পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র। তারা আমেরিকাকে পরাজিত করে আফগানকে স্বাধীন করেছে। এর প্রেক্ষাপটে যুবকদের ভেতর যারা জিহাদ করতে চায়, তাদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হবে। এর ঢেউ কিন্তু আমাদের উপমহাদেশে লাগবে। আমি মনে করি, সব লেভেলে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেটি পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি থাকা দরকার।’

শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানটা কীভাবে হলো, যখন আফগানিস্তানে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ হলো, পবিত্র ভূমি থেকে বিতাড়িত করার জন্য জিহাদের ডাক দেওয়া হলো, তখন বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মুসলমান আশির দশকে আফগানিস্তানে যান। পরে দেশে ফিরে তাঁরা প্রকাশ্যে মিছিল করার সাহস দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানটা কিন্তু আফগানিস্তানকেন্দ্রিক।

আফগানফেরতরা এ দেশে হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি, এগুলো তৈরি করেছে। পরে তারা বাংলাদেশে খেলাফত কায়েমের জন্য আন্দোলন শুরু করে। ২০০৫ সালের যে ঘটনা (সিরিজ বোমা হোমলা), এরপর বাংলাদেশে জঙ্গিদের কার্যক্রম প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে এসেছিল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে নানা সহযোগিতায় আইএসের উদ্ভব হলো। তখন আবার দ্বিতীয় দফা জঙ্গি সংগঠন তৈরি হলো। নব্য জেএমবি তৈরি হলো। বাংলাদেশে যে জঙ্গি সংগঠন হচ্ছে, তা কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনো ঘটনার প্রেক্ষাপটে এরা উৎসাহ পাচ্ছে।