২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

আরিফের সাজা কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা দুই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফের সাজা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই মামলায় সাজার রায় বাতিল চেয়ে করা দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। একই সঙ্গে তাঁর জরিমানার আদেশও স্থগিত করেছেন আদালত।

আদালতে আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল বর্তমানে কারাগারে।

এস এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি আরিফুল নির্ধারিত সময়ে সংগ্রহ করতে পারেননি। তাই জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেননি। এ কারণে ওই মামলায় তাঁকে দেওয়া যাবজ্জীবন সাজা বাতিল চেয়ে আরিফুল দুটি আবেদন করেন। হাইকোর্ট রুল দিয়ে পৃথক মামলায় ৫০ হাজার টাকা করে তাঁকে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন। ওই মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) সঙ্গে এই আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হবে।

গত বছরের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক) রায় দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৫২ আসামির মধ্যে অন্য মামলায় জামায়াতের নেতা আলী আহসান মুজাহিদ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। মামলার আসামি তারেক রহমানসহ পলাতক আছেন ১৮ জন।

এরপর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়সহ নথিপত্র ওই বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছে, যা নম্বরের মধ্যে দিয়ে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

আইনজীবীরা বলছেন, বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) মামলা হিসেবে পরিচিত। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায় ও নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিতরা কারাগারে থেকে জেল আপিল করতে পারেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করতে পারেন। ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল, জেল আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।