বিচিত্র

বন্ধু হারানো শুরু হয় কোন বয়সে?

একজন মানুষের বন্ধু কতজন, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের এই সময়ে ‘বন্ধুর’ সংজ্ঞাটাই তো পাল্টে গেছে। তবে পেশাগত প্রয়োজনে অন্তত ফোনে নিয়মিত কথা হয়—এমন প্রিয়জনদের নিশ্চয়ই ভালো বন্ধু বলা যেতে পারে। আর সেই বন্ধুদের সংখ্যাও মানুষের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে।
কোন বয়সে বন্ধু হারানো শুরু হয়, তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের একদল মনোবিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি রয়েল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। স্মার্টফোনের বহুল ব্যবহারের কারণে পারস্পরিক যোগাযোগ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। তাই ওই বিজ্ঞানীরা তাঁদের নতুন গবেষণাটিকে বন্ধুত্ববিষয়ক পুরোনো কিছু গবেষণার সঙ্গে সমন্বয় করেছেন, যাতে বন্ধুদের মুখোমুখি আলোচনার তথ্য-উপাত্তও রয়েছে।
নতুন গবেষণায় বলা হয়, ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত নারী ও পুরুষ নতুন নতুন এবং বেশি বেশি বন্ধু তৈরি করতে থাকে। ওই বয়সের পর একজন ব্যক্তির বন্ধুসংখ্যা ক্রমাগত কমে। ২৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ প্রতি মাসে গড়ে ১৯ জন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। একই বয়সী একজন নারীর ক্ষেত্রে এই গড় ১৭ দশমিক ৫। তবে ৩৯ বছর বয়সে পুরুষ ও নারীরা যথাক্রমে প্রতি মাসে গড়ে মাত্র ১২ ও ১৫ জন বন্ধুকে টেলিফোন করেন। তারপর বাকি জীবন ধরে তাঁদের বন্ধুসংখ্যা কমতে কমতে ৮০ বছর বয়সে একেবারে থেমে যায়। তখন একজন নারীর বন্ধুসংখ্যা গড়ে আট এবং পুরুষের গড়ে ছয়ে স্থির হয়।
গবেষণায় আরও বলা হয়, প্রবীণেরা নাতি-নাতনিদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান বলেই পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ কমে। আর অল্প বয়সীরা জীবনের শুরুর দিকে অনেকের সঙ্গে মেশে এবং বন্ধু বাছাইয়ের ব্যাপারটা নিয়ে একধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। কিন্তু একটা বয়সে পৌঁছানোর পর জীবনের অন্যান্য ব্যস্ততায় নিয়মিত বন্ধু বাড়ানোর প্রবণতা কমতে শুরু করে।