Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি

বগুড়ার একটি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির মুখোশ পরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে স্বাগত জানানোর ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি হওয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এ ছাড়া মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কাজ বা কর্মসূচি না দিতে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী বগুড়ার ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিরক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া মুজিব শতবর্ষে বাজেটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিষয়টি জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুখোশ পরে শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানায় শিক্ষার্থীরা। এই ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়। যেখানে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই মন্তব্য করেন। বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় উঠলে প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন।

আলোচনায় মুজিব শতবর্ষে কর্মসূচির নামে বাড়াবাড়ি না করা এবং অহেতুক অর্থ ব্যয় না করা নিয়েও আলোচনা হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিদ্যমান বাজেট থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যেন উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচিকে মুজিব বর্ষের কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণা করে। বড় বাজেট দিয়ে নতুন কর্মসূচি নয়; তবে ব্যতিক্রমী কাজ হলে সে জন্য টাকার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

কেমন কর্মসূচি হতে পারে, তারও একটি উদাহরণ দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় লাখ পেনশনভোগী বাড়িতে বসে যাতে পেনশন পান, সেটা নিশ্চিত করবে অর্থ বিভাগ। এ রকম কর্মসূচি মুজিব শতবর্ষের কর্মসূচিতে রাখতে বলা হয়েছে।