সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তথ্য

৬৪ জেলায় গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প হবে

গৃহহীনদের বাসস্থানের জন্য দেশের ৬৪ জেলায় গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প নেওয়া হবে। যেসব জেলায় খাসজমি আছে, সেখানে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যেসব জেলায় খাসজমি পাওয়া যাবে না, সেখানে জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল রোববার ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের বাসস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সে অনুযায়ী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে ও হচ্ছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে যেসব ভূমিহীনকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেসব জমিতে তাঁদের মালিকানা আছে কি না; যাঁদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃত ভূমিহীন কি না; অধিগ্রহণ করা জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না—সে সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নদী-নালা ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সারা দেশে পর্যায়ক্রমে ভূমির ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে চা বোর্ড থেকে জানানো হয়, দেশে মোট চা-বাগানের সংখ্যা ১৬৬টি। এর মধ্যে ইজারাধীন ১২৬টি, ইজারাবিহীন ৩১টি এবং নিজস্ব কেনা জমিতে নয়টি।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম খান বৈঠকে জানান, অনেকে চা-বাগানের জন্য জমি নিয়ে রাবার বাগান করেছেন। এসব রাবার গাছ কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। কিন্তু মালিকেরা বলেছেন, এর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই তাঁরা সহজ শর্তে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বৈঠকে সংসদীয় কমিটি চা-বাগানে রাবারের চাষ যাতে না বাড়ে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা ও শিল্পকারখানা যাতে গড়ে না ওঠে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
কমিটির সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, মীর শওকত আলী বাদশা, ইসহাক হোসেন তালুকদার, একাব্বর হোসেন, মকবুল হোসেন, জাহানারা বেগম প্রমুখ অংশ নেন।