চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করছেন ছয় শিক্ষার্থী। সোমবার রাত সাড়ে আটটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। ছয় শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত তাঁদের প্রতীকী অনশন চলবে।
প্রতীকী অনশনে যোগ দেওয়া ছয়জন বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবিগুলো হলো—জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো স্থানীয় ‘সন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের’ চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা; সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা উপাচার্যের ‘দৃষ্টিকটু’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া; দ্রুততম সময়ে পূর্ণাঙ্গ আবাসন বাস্তবায়নের পথনকশা প্রকাশ করা এবং প্রশাসনিক ও প্রক্টরিয়াল বডিকে সংঘর্ষের দায় স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পদত্যাগ করা।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিশাদ আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখানে ছয়জন প্রতীকী অনশন করছি। ভোর পর্যন্ত অবস্থান করব। আমাদের ভাইয়েরা, যারা আইসিইউতে আছে, তারা খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে না—সেই কষ্ট অনুভব করার জন্যই এই অনশন। আমরা পাঁচ দফা দাবি জানাচ্ছি, যার মধ্যে একটি হলো—দায় স্বীকার করে প্রশাসনের পদত্যাগ।’
প্রতীকী অনশনে যোগ দেওয়া আরেক শিক্ষার্থী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রাহুল হাসান বলেন, ‘আমাদের এই প্রতীকী অনশন মূলত ভাইয়ের রক্তের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ। আমরা চাই, সব শিক্ষার্থীর স্থায়ী নিরাপত্তা ও আবাসনের ব্যবস্থা উপাচার্য নিশ্চিত করবেন। প্রতিবাদ হিসেবে আমরা উপাচার্যের বাসভবনে তাঁর নামের আগে “তুচ্ছ” শব্দটি লিখেছি, যেন তিনি নিজের বক্তব্যে অনুশোচনা প্রকাশ করেন। প্রয়োজনে আমরা প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি।’