বিবৃতি
বিবৃতি

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ৪৬ শিক্ষকের বিবৃতি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দলটির নেতাদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক। তাঁরা এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এসব কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেছেন, ‘এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারা দেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের গোপালগঞ্জে জড়ো করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনে বোমা হামলাসহ নানা অস্ত্রশস্ত্র বহনকারীদের প্রতি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা লক্ষণীয়। এতে প্রতীয়মান হয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দোর্দণ্ডপ্রতাপে বিরাজ করছে। তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও পেশাদার আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের সমন্বয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে ঢেলে সাজানো ও সংস্কার করতে হবে।’

‘গোপালগঞ্জে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও এনসিপি নেতৃত্বের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা’ শিরোনামে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গোপালগঞ্জে যা হলো, এই বর্বরতা শুধু রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা নয়, বরং জুলাই অভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটানো কাণ্ড। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করা অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত।

বিবৃতিতে সই করা শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহিব্বুল্লাহ, মো. বরকত আলী, সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান সাঈদী ও মোহাম্মদ ফায়সাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লুৎফুল এলাহী ও মো. মিজানুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ এফ জি মাসুদ রেজা, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শামসুজোহা, আবু খায়ের মোকতাদিউল বারী চৌধুরী ও মো. সোহাইবুর রহমান, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মো. মনজুর হোসেন এবং উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফয়সাল মাহমুদ।