
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাম জোট–সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেল। গণতান্ত্রিক সংস্কার, ক্যাম্পাস উন্নয়ন ও আবাসনসংকট নিরসনকে তাদের ইশতেহারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী ইভান তাহসীব ইশতেহার পাঠ করেন।
বাম জোট–সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেল নয়টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয় গঠিত। এই সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, রাষ্ট্রচিন্তা, চিন্তক সাহিত্য পত্রিকা, জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।
১০ দফা ইশতেহারের মধ্যে কয়েকটি উপদফাও অন্তর্ভুক্ত করেছে প্যানেলটি। ইশতেহারে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক সংস্কার, ক্যাম্পাস ও আবাসন, পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণা, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপদ খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবস্থা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াচর্চা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের চেতনা।
সংবাদ সম্মেলনে জিএস পদপ্রার্থী ইভান তাহসীব বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হলে প্রথমেই জকসুর জন্য একটি ফান্ড গঠন করব। এই ফান্ডের মাধ্যমে জকসুর বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু বিষয় নীতিনির্ধারণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, আবার কিছু বিষয় বাস্তবায়নে প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হয়। আমরা উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা রাখব।’
তাহসীব আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্য দাবি আদায়ের প্রশ্নে মওলানা ভাসানী ব্রিগেড আপসহীন থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক, এজিএস শামসুল আলম মারুফসহ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।