সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তারিক সাইফ মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন (বাঁয়ে)। দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন (ডানে)
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তারিক সাইফ মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন (বাঁয়ে)। দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন (ডানে)

পুরান ঢাকায় মামুন হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার হননি ‘নির্দেশদাতা’ রনি

রাজধানীর পুরান ঢাকায় আদালত এলাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাঈদ মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার সূত্রাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন তাঁর স্ত্রী বিলকিস আক্তার। তবে মামলায় আসামি হিসেবে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে নাম আসা রনি ওরফে ভাগনে রনি এখনো গ্রেপ্তার হননি। পুলিশের ভাষ্য, রনির নির্দেশে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মামুনকে গুলি করে হত্যা করেন ফারুক ও রবিন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামুন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের পরদিনই ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল (৩৮), রবিন আহম্মেদ ওরফে পিয়াস (২৫), মো. রুবেল (৩৪), শামীম আহম্মেদ (২২) ও মো. ইউসুফ জীবন (৪২)। তাঁদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র আইনে মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় তাঁরা এখন ডিবি পুলিশের চার দিনের রিমান্ডে আছেন। তাঁদের মধ্যে ফারুক ও রবিন ১০টি গুলি চালিয়ে মামুনকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গত সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ফটকের বিপরীতে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় মামুনকে। আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় খুব কাছ থেকে দুই ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও শুটাররা পেছন থেকে গুলি ছোড়েন।

পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মামুনকে হত্যার জন্য চুক্তি হয়েছিল মাত্র দুই লাখ টাকার।