বিশ্ব টয়লেট দিবসে রাজধানীর লেকশোর হাইটস হোটেলে হারপিকের বিশেষ আয়োজনে অতিথিরা
বিশ্ব টয়লেট দিবসে রাজধানীর লেকশোর হাইটস হোটেলে হারপিকের বিশেষ আয়োজনে অতিথিরা

বিশ্ব টয়লেট দিবস

‘দিপু–টুশি হাইজিন অভিযান’ কমিকের মোড়ক উন্মোচন করল হারপিক

বিশ্ব টয়লেট দিবস–২০২৫ উপলক্ষে শিশু–কিশোরদের জন্য নতুন একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছে হারপিক। ‘দিপু-টুশি হাইজিন অভিযান’ বইটির মাধ্যমে আনন্দময় ও মজার কৌশলে শিশুরা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সহজেই শিখতে পারবে। বইটির পাশাপাশি সারা দেশের শিশুদের স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে শেখাতে একই নামে ডিজিটাল কার্টুন সিরিজও প্রকাশ করেছে হারপিক।

রাজধানীর লেকশোর হাইটস হোটেলে বিশেষ একটি আয়োজনে এই মোড়ক উন্মোচন করে হারপিক। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ স্যানিটেশন ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বিশ্ব টয়লেট দিবস ও স্যানিটেশন কর্মী’ বিষয়ে মূল বক্তব্য দেন আব্দুল্লাহ আল মূঈদ। তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্যানিটেশন কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, এসডিজি–বিষয়ক স্যানিটেশনের চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া করপোরেটদের এই সেক্টরের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘টয়লেট শুধু প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্যই নয় বরং এটি স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।’

পরবর্তী পর্যায়ে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলম, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাজেদা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি সিইও ফজলুল হক, মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ এবং রেকিট বেনকিজারের (বাংলাদেশ) হেড অব মার্কেটিং সাবরিন মারুফ। আলোচনা সেশনটি পরিচালনা করেন রেকিট বেনকিজারের (বাংলাদেশ) এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার মো. রাকিব উদ্দিন। প্যানেলিস্টরা আলোচনা করেন স্যানিটেশন–ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি এবং যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমেই দেশের মানুষের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন–সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে হারপিক বাংলাদেশ ও সাজেদা ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে স্যানিটেশন কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের কল্যাণে আরও সক্রিয় হওয়ার ঘোষণা দেয়। এর পাশাপাশি সাজিদা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে দুই হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে হারপিক বাংলাদেশের গত এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়, যেখানে দেশের সামগ্রিক পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটেশনের মান উন্নয়নে ব্র্যান্ডের অটুট অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।

রেকিট বেনকিজারের (বাংলাদেশ) হেড অব মার্কেটিং সাবরিন মারুফ বলেন, ‘বিশ্ব টয়লেট দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, স্যানিটেশন একটি মৌলিক মানবাধিকার। হারপিক গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাইজিন শিক্ষা কর্মসূচি, স্যানিটেশন কর্মীদের সহায়তা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে অবদান রাখতে পেরে গর্বিত। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আমরা ভবিষ্যতেও কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাব।’

বিশ্ব টয়লেট দিবস প্রতিবছরের ১৯ নভেম্বর পালিত হয়। দিবসটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৬)–২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা—বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা।