Thank you for trying Sticky AMP!!

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মারা গেছেন

মাহবুব তালুকদার

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মাহবুব তালুকদারের মেয়ে আইরিন মাহবুব প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইরিন মাহবুব বলেন, ‘আজ বুধবার সকালে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় বাবার। দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, মাহবুব তালুকদার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। বেলা দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।’

মাহবুব তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

Also Read: অবাধ নির্বাচনে মাহবুব তালুকদারের পাঁচ 'নি'

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মাহবুব তালুকদার ১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায়। তিনি ঢাকা নবাবপুর হাইস্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি ঢাকা জগন্নাথ কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও মুজিবনগর সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চাকরিতে যোগ দেন। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাঁকে উপসচিবের পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ উল্লাহর জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মাহবুব তালুকদার তাঁর সহকারী প্রেস সচিবের (উপসচিব) দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তাঁকে তদানীন্তন ক্যাডার সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা পরে বিসিএস প্রশাসন হিসেবে রূপান্তরিত হয়। একসময়ে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। চাকরিজীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ে অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হয়।

মাহবুব তালুকদার একজন সৃজনশীল লেখক। কবিতা, গল্প, উপন্যস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনি মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৪০। তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। তাঁর স্ত্রীর নাম নীলুফার বেগম। এ দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।