Thank you for trying Sticky AMP!!

বেতন–বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন

কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা

নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। তাঁদের দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।‌

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন।

স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য সহকারীদের এই কর্মবিরতির কারণে আগামী ৫ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনসহ দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

তাঁদের দাবি হলো, নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রবিউল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতির সভাপতি দিনেশ চন্দ্র মণ্ডল, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান পান্না, বাংলাদেশ হেলথ ইন্সপেক্টর সেক্টরাল অ্যাসোসিয়েশনের ক্রীড়া সম্পাদক মির আব্দুল কাদের প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে রবিউল আলম বলেন, ৭০–এর দশকে পরীক্ষামূলকভাবে এসব স্বাস্থ্য সহকারীদের শুধু বসন্ত ও ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব এককভাবে দেওয়া হয়।

১৯৭৯ সালে ৭ এপ্রিল চালু করা হয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের কর্মসূচি এককভাবে স্বাস্থ্য সহকারীদের ওপর ন্যস্ত করা হয়।

টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীরা বর্তমানে ১০টি মারাত্মক সংক্রমিত রোগের (শিশুদের যক্ষ্মা, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, ডিফথেরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও হামে-রুবেলা) টিকা দেন।