আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে
আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে

জগন্নাথশিক্ষার্থীদের লংমার্চে সংঘর্ষ

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৬ জন, ভর্তি ২

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অন্তত ৩৬ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুজন। আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের নিবন্ধন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে তিন দফা দাবিতে লংমার্চ করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে লংমার্চে বাধা দেয় পুলিশ।

এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের কাউন্টার সূত্র জানায়, ওই ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৮ জন শিক্ষার্থী টোকেন সংগ্রহ করেন। তাঁদের মধ্যে দুজন এখনো চিকিৎসাধীন।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন রফিক, শফিক, ওমর ফারুক, আরিফ আসলাম, রেদোয়ান, আসিফ, রহমান, আকিব, আবদুর রহমান, জীবন, হানিফ, জিসানুল, মাহতাব লিমন, মেহেদী, মুজাহিদ, অর্থিব, আপেল, রায়হান, ফারুক হোসেন, আবু বকর, নিউটন ইসলাম, মাহিদ, রাসেল, গৌরব, আবদুল মান্নান, জিসান, নাহিদ, জুয়েল, মোহন, সোহানুর রহমান, মাসুমা, সংগ্রাম, বাইতুল, রাজু, সুমন, রাজিব, আকাশ ও সুবর্ণ আস সাইফ।

আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাহতাব লিমন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুবর্ণ আস সাইফ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সংঘর্ষের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করার দাবিতে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষাক–শিক্ষার্থীরা। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও অংশ নেন।