
হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে ২২ শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার প্রাক্তন ও বর্তমান একদল শিক্ষার্থী।
আজ বুধবার সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সেখানে যোগ দেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে পুনর্বহাল এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
আন্দোলনরত এক ছাত্রী বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি ছাত্রীদের ড্রেসকোড মানতে বলেছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রাক্তন এক ছাত্রী আনিসা করিম বলেন, ‘আমি ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। শুধু নাহার আপা নন, অন্য শিক্ষকেরাও কখনো আমাদের হিজাব নিয়ে কোনো কথা বলেননি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই, যেসব গণমাধ্যমসহ যাঁরা আপার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে তাঁর মানহানির চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিচার চাই।’
হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে ২২ শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা নোটিশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমি এই কাজটা করিইনি। আর এই ক্লাসে ২২ জন মেয়ে হিজাব পরে না। ৯ জন বা ১১ জন পরে। আমি মেয়েদের বলেছি, তোমরা হিজাব পরে স্কুলে আসবা।’ হিজাব কীভাবে পরতে হবে, তার নিয়মও ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেছিলেন বলে জানান এই শিক্ষক।
এ নিয়ে আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। ওই শিক্ষককে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। আমাদের তদন্ত কমিটিও কাজ করছে।’