Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীর বকশিবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের কার্যালয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন

আহমদিয়া মুসলিম জামাতের জলসায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি

সম্প্রতি পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের জলসা বা বার্ষিক সম্মেলনে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলা ও আসামি গ্রেপ্তারে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ওই সম্প্রদায়ের নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন। তবে তাঁরা তাদের বার্ষিক সম্মেলনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সম্পাদক (বহিঃসম্পর্ক, গণসংযোগ ও গণমাধ্যম) আহমদ তবশির চৌধুরী আহমদীয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সম্মেলনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

আহমদ তবশির চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের জলসা বা বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হতাহত, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ৫৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে। তিনি রাজনীতি প্রভাবমুক্ত থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ করেন। এখন পর্যন্ত চারজন আসামি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এভাবে আসামিরা জামিনে বেরিয়ে গেলে তাঁরা হুমকির মুখে পড়ে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বেন বলে জানান।  

আহমদিয়া মুসলিম জামাতের গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক তবশির চৌধুরী বলেন, আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করতে খতমে নবুয়তসহ কয়েকটি উগ্রবাদী সংগঠন সরকরকে চাপা দিচ্ছে। আহমদিয়া মুসলিম জামাত আশঙ্কা করছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারা এটা একটি ইস্যু করার চেষ্টা করছে।  এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

Also Read: পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

সংবাদ সম্মেলনে আহমদ তবশির চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে হামলার আগে ও পরের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৩ মার্চ হামলায় খতমে নুবয়তের সঙ্গে জামায়াতে ইসলাম যোগ দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বিভীষিকাময় অবস্থা অতিবাহিত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় তিনি সংবাদ অংশগ্রহণকারীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তবশির চৌধুরী বলেন, আহমদিয়া সম্প্রদায় বাংলাদেশে ১১০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। তারা এই সমাজেরই লোক। তারা দেশের বাইরে থেকে আসেনি বা স্বতন্ত্র কোনো গোত্রেরও নন। বৃহত্তর মুসলিম সমাজে তাঁদের আত্মীয়–পরিজন রয়েছেন। আহমদিয়া জামাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আহমদিয়া মুসলিম জামাতের নায়েবে ন্যাশনাল আমির শহিদুল ইসলাম, বকশীবাজার মসজিদের দুই ইমাম ও ধর্মবিষয়ক শিক্ষক মাওলানা শেখ মুস্তাফিজুর রহমান ও  মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নূরুল আমীন।

৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বন্ধের দাবিতে খতমে নবুয়ত ও স্থানীয় মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জুমার নামাজ শেষে ঐদিন শুক্রবার বেলা দুইটার পর পঞ্চগড় শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গী মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়। পরে ১০টি বাড়িঘর ও ৪টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ট্রাফিক পুলিশের একটি কার্যালয়। এতে দুই ব্যক্তি নিহত, পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হন।  

Also Read: আহমদিয়া কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত