বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুজন কর্মী বিশেষ নিরাপত্তা পোশাক ও অক্সিজেন মাস্ক পরে ভেতরে যান। সেখান থেকে বেরোনোর পর তাদের গাম বুটে ক্রিমের মতো লেগে থাকা গলে যাওয়া রাসায়নিক পানির স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। ১৮ অক্টোবর
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুজন কর্মী বিশেষ নিরাপত্তা পোশাক ও অক্সিজেন মাস্ক পরে ভেতরে যান। সেখান থেকে বেরোনোর পর তাদের গাম বুটে ক্রিমের মতো লেগে থাকা গলে যাওয়া রাসায়নিক পানির স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। ১৮ অক্টোবর

মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে এখনো বিষাক্ত গ্যাস, ধোঁয়া অনেকটা কমেছে

আগুনে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে রাসায়নিকের গুদামে ধোঁয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে। আশপাশে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজও এখন তেমন নেই। তবে গুদামের ভেতর এখনো বিষাক্ত গ্যাস রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

আজ শনিবার রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, শিয়ালবাড়িতে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাসায়নিক গুদামের ভেতরে পানি ছিটিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য গলিয়ে বাইরে অপসারণ করার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। গুদাম থেকে বের হওয়া ধোঁয়ার পরিমাণ ও আশপাশের এলাকায় গ্যাসের তীব্র একদম কমে গেছে।

তবে গুদামের ভেতরে এখনো গ্যাসের তীব্রতা রয়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, রাসায়নিক দ্রব্য পর্যায়ক্রমে পানিতে গলিয়ে বের করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে রাসায়নিক গ্যাসের তীব্রতা ধীরে ধীরে এমনভাবে কমানো হচ্ছে, যাতে পরে ভেতরে গেলে কারও সমস্যা না হয়।

আজ বেলা ১১টার দিকে ওই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই শিয়ালবাড়ি শিল্প এলাকার ৩ নম্বর সড়কে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে রেখেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এর বাইরে উৎসুক মানুষের ভিড়। বেশির ভাগেরই মুখে নেই মাস্ক। গ্যাসে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে বলে সতর্ক করে লোকজনকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা।

সকালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের গুদামের ভেতরে পানি ছিটিয়ে জমে থাকা রাসায়নিক বের করে দেওয়ার কাজ করতে দেখা গেছে। পানির সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদা রঙের রাসায়নিক সড়ক হয়ে করপোরেশনের নালায় পড়ছিল।

শিয়ালবাড়িতে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাখা হয়েছে। ১৮ অক্টোবর

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুজন কর্মী বিশেষ নিরাপত্তা পোশাক ও অক্সিজেন মাস্ক পরে ভেতরে যান। সেখানে ওই কর্মীরা প্রায় ১৫ মিনিটের মতো অবস্থান করে ফিরে আসেন। বাইরে বেরোনোর পর ওই কর্মীদের গাম বুটে ক্রিমের মতো গলে যাওয়া রাসায়নিক লেগে থাকতে দেখা গেছে। ভেতরে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, দোতলায় এখনো কিছু কিছু অংশ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ধোঁয়া মূলত বিষাক্ত গ্যাস, যা রাসায়নিকের বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে গুদামটি এখনো সাধারণ মানুষের জন্য বিপজ্জনক।