আজ মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামের সব টিকাকেন্দ্রে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। তাই সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে সে সব কেন্দ্রে ভিড় করেন লোকজন। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আজ মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামের সব টিকাকেন্দ্রে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। তাই সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে সে সব কেন্দ্রে ভিড় করেন লোকজন। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

গণটিকার প্রথম দিনে টিকাকেন্দ্রে ভিড়

চট্টগ্রামে করোনার গণটিকা দেওয়ার প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। অন্যান্য টিকাকেন্দ্রেও ছিল দীর্ঘ লাইন। সকাল থেকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে লোকজন টিকা নিয়েছেন। তবে খুদেবার্তা না পাওয়ায় এবং সময় পার হয়ে যাওয়ায় অনেককেই ফিরে যেতে হয়।

চমেক হাসপাতাল কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে টিকার জন্য লাইন ধরে সাধারণ মানুষ। বেলা ১১টায় নারী-পুরুষের লাইন দীর্ঘ হয়ে যায়। এখানে ৮টি কক্ষে টিকা দেওয়া হয়। আগে যাঁরা নিবন্ধন করে টিকা পাননি, তাঁদের পাশাপাশি নতুন করে নিবন্ধনকারীরাও টিকা নিতে ভিড় করেন। মমতাজ বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। খুদেবার্তা আসার পর টিকা নিতে এসেছি।’

তবে অনেকে খুদেবার্তা না আসার পরও টিকা নিতে যান। তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ১ হাজার ২০০ মানুষকে আজ টিকা নেওয়ার জন্য খুদেবার্তা পাঠিয়েছেন। আটটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। এরপরও কেউ কেউ খুদেবার্তা ছাড়া বা অন্য কেন্দ্রে চলে এসেছেন। তাঁদের টিকা দেওয়া হয়নি। শুধু এই কেন্দ্রেই আজ ১ হাজার ২৭৯ জনকে মর্ডানার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

নগরের জেনারেল হাসপাতাল এবং সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতালেও টিকার জন্য দীর্ঘ লাইন ছিল। তবে সেখানে চমেক কেন্দ্রের মতো ভিড় দেখা যায়নি। জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. আবদুর রব বলেন, ছয়টি কক্ষে টিকাদান চলছে। যাঁরা খুদেবার্তা নিয়ে আসছেন, সবাই টিকা পেয়েছেন।
আজ নগরের ১১টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলে। নগরে মর্ডানার এবং উপজেলাগুলোতে দেওয়া হয় সিনোফার্মের টিকা।