রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আবদুস সালেক (৩২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর মাকে হাতুড়ির আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
নিহত নারীর নাম সেলিনা বেগম (৫০)। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আরিজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি হাতুড়ি জব্দ করেছে। অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পর থেকে পলাতক।
পুলিশ, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, ঘটনার রাতে সালেক ও তাঁর মা বাড়িতে ছিলেন। সালেকের বাবা মো. শাহাবুদ্দিন ছিলেন বাজারে। এ সময় সালেক তাঁর মায়ের কাছে টাকা চান। তবে ছেলে মাদকাসক্ত হওয়া তিনি টাকা দিতে রাজি হননি। একপর্যায়ে সালেক ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর মায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। এতে সেলিনা বেগমের মৃত্যু হয়।
পুলিশ মরদেহ ও ঘটনাস্থলের আলামত দেখে ধারণা করছে, হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য সালেক তাঁর মায়ের মরদেহের গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। পুলিশ বলছে, ঝুলে থাকলেও মরদেহের বেশির ভাগ অংশ মেঝেতে লেগে ছিল। সেলিনা বেগমের মাথার জখম থেকে রক্ত ঝরছিল। ঘটনাস্থলের পাশে হাতুড়িও পাওয়া গেছে।
পুলিশ আরও জানায়, সালেকসহ নিহত নারীর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়েরা বাড়ি থাকে না। অপর ছেলে ঢাকায় থাকেন। সালেক দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছেন। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেলিনা বেগমের লাশ দাফন হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সালেককে আটকের চেষ্টা চলছে।