Thank you for trying Sticky AMP!!

চমেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারি

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারি হয়েছে। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে। তবে চমেক অধ্যক্ষ শামীম হাসান জানান, আহতরা আশঙ্কামুক্ত।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শামীম হাসান প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে একটি পক্ষ ছাত্রাবাস মেরামতের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁর কাছে যায়। ওই পক্ষটি বের হওয়ার পরপর ছাত্র সংসদের নেতারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ঢোকেন। কিন্তু ভেতরে গোয়েন্দা সংস্থার লোক থাকায় অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি। পরে কার্যালয় থেকে বের হয়ে নিচে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে অধ্যক্ষ তাঁদের থামাতে চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, কলেজটি বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ছাত্র সংসদ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি তাদের বিপক্ষে আরেকটি পক্ষ সোচ্চার হয়েছে। ওই পক্ষটি নিজেদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচয় দেয়। শেষের পক্ষটি ছাত্রাবাস মেরামতসহ নানা দাবি নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এরপর ছাত্র সংসদের নেতারা অধ্যক্ষের কাছে যান।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হওয়ার পর পুলিশ গিয়ে অ্যাকশনে যায়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ ডাকা হয়।
এই ঘটনায় চমেক কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য অধ্যক্ষ আবেদন করেছেন।